হাওজা নিউজ এজেন্সি: আব্দুল্লাহ মালেক আহমাদি বলেন, কিশোর বয়সে সঠিক লালন-পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বয়সের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করা এবং কার্যকর সমাধান বের করা প্রয়োজন।
পরিবার ও সমাজ কিশোরদের মানসিক দুনিয়া বুঝতে পারছে না
মালেক আহমাদি বলেন, “আজকের কিশোরদের সমস্যার মূল কারণ হলো—পরিবার এবং সমাজ তাদের মানসিক এবং আবেগগত পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছে না। প্রজন্মের মধ্যে কিছুটা ফাঁক থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি এই ফাঁককে অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।”
ভার্চুয়াল জগতের নেতিবাচক প্রভাব
তিনি সতর্ক করে বলেন, “তরুণরা একদিকে তথ্যের স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে তাদের সময় ও প্রতিভার বড় অংশ এমন অঙ্গনে ব্যয় হচ্ছে যা পরিবার সাধারণত অনুমোদন করে না এবং প্রায়শই শত্রু–চক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। এতে তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশ প্রভাবিত হচ্ছে।”
তরুণদের সময়কে ইতিবাচক কাজে লাগানোর উপায়
মালেক আহমাদি বলেন, তরুণদের মন ও সময় এমনভাবে ব্যস্ত রাখা দরকার যাতে তারা অনুপযুক্ত বিষয় বা ক্ষতিকর কার্যকলাপে সময় না দেয়। খেলাধুলা, পেশাগত দক্ষতা অর্জন, বই পড়া এবং ধর্মীয় কার্যক্রমে অংশগ্রহণ তাদের সময়কে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করার উপায়। চিন্তাভাবনায় সীমাবদ্ধ না রেখে তাদেরকে বাস্তব কাজে যুক্ত করা প্রয়োজন।
পিতা–মাতার সঙ্গে আবেগিক সম্পর্ক অপরিহার্য
তিনি বলেন, বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের সঙ্গে আবেগিক দূরত্ব কমানো। একসাথে সময় কাটানো, ভ্রমণ করা এবং কথাবার্তা চালানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুঃখজনকভাবে আজ দেখা যায়, অনেক বাবা-মায়ের কাছে সন্তান দেখার সময় নেই বা ধৈর্য নেই তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য।
পরিবারে অশান্ত পরিবেশের প্রভাব
মালেক আহমাদি কুরআনের আয়াত “নিজেদের ও পরিবারকে আগুন থেকে রক্ষা কর” উদ্ধৃত করে বলেন, “যদি পরিবারের পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ ও ঝগড়াপূর্ণ হয়, তাহলে সঠিকভাবে সন্তান লালন-পালনের আশা করা যায় না। এমন কিশোররা আবেগগত শূন্যতা পূরণের জন্য খারাপ সঙ্গ, অনৈতিক সম্পর্ক অথবা আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে যেতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, আহলুল বাইত (আ.)–এর পারিবারিক আচরণই হলো সন্তান লালন-পালনের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।
আপনার কমেন্ট