মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর ২০২৫ - ১৪:২৭
ইরান ১০৩টিরও বেশি টাস্কফোর্স গভীর সমুদ্রে মোতায়েন করেছে: নৌবাহিনী প্রধান

ইরানের নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক জলসীমায় এখন পর্যন্ত ১০৩টিরও বেশি টাস্কফোর্স মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে দুটি বর্তমানে সক্রিয় মিশনে রয়েছে। বৈশ্বিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তেহরানের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই তথ্য জানিয়েছেন নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহরাম ইরানি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আসন্ন নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডমিরাল ইরানি নৌসেনাদের ত্যাগ ও তাদের পরিবারের ধৈর্য–অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, নৌবাহিনী দিবস হলো ইরানের সমুদ্ররক্ষীদের বীরত্ব, পেশাদারিত্ব এবং বিশেষ করে ইরান–ইরাক যুদ্ধের কঠিন সময় দেশের অর্থনৈতিক রুট রক্ষার স্মারক।

তিনি জানান, ইরানের নৌবাহিনী আজ আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও শক্তিশালী ও সক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে, যা দেশের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। নেতার ঘোষিত নয়-দফা সামুদ্রিক নীতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ধারাবাহিক উপস্থিতি কৌশলগত লক্ষ্য অর্জনের প্রধান শর্ত।

অ্যাডমিরাল ইরানি বলেন, “বন্ধুত্বপূর্ণ ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্কই নৌবাহিনীর কৌশলের মূল ভিত্তি। এ ধরনের সহযোগিতা সমুদ্রপথের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক শিপিং কার্যক্রমের স্থিতিশীলতা আরও মজবুত করে।” তিনি জানান, শিগগিরই নতুন নৌজাহাজ ও আধুনিক সরঞ্জাম উন্মোচন করা হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুইটি টাস্কফোর্স মহাসাগরীয় এলাকায় মোতায়েন রয়েছে এবং আরও দুইটি তাৎক্ষণিক মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এটি ইরানের সামুদ্রিক স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে অ্যাডমিরাল ইরানি বলেন, ইরানের নৌবাহিনী জাতীয় পতাকার অধীনে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে চলাচল করে এবং বহু দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। তাঁর মতে, এই সক্রিয় উপস্থিতি ও চলাচল বাস্তবে নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা নস্যাৎ করে দিয়েছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha