হাওজা নিউজ এজেন্সি: সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইআরজিসি জানায়, “সিয়নবাদী শাসন আবারও প্রকাশ্য সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর এক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ কমান্ডারকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। কথিত যুদ্ধবিরতির (যা ইসরাইল একাধিকবার লঙ্ঘন করেছে) মধ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এটি শক্তির নয়, বরং দুর্বলতা ও অসহায়ত্বের পরিচয়।”
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার সমালোচনা করে বলা হয়, ইসরাইলের গণহত্যা ও নিয়মিত আগ্রাসনের মুখে এ ধরনের নীরবতা হতাশাজনক। একই সঙ্গে ইসরাইলের প্রতি “হোয়াইট হাউসের যুদ্ধোন্মাদ নেতৃত্বের নিরঙ্কুশ সমর্থন” নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
রবিবার বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় হায়সাম আলী তাবাতাবায়ীসহ পাঁচজন নিহত হন। নভেম্বর ২০২৪ সালে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এটি হিজবুল্লাহর শীর্ষতম সামরিক কমান্ডারকে হত্যার প্রথম ঘটনা। ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে প্রায় প্রতিদিন হামলা চালালেও কয়েক মাস ধরে বৈরুতকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি আগ্রাসনে কমপক্ষে ৩৩১ জন নিহত এবং ৯৪৫ জন আহত হয়েছেন। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন ইউনিফিল (UNIFIL) ১০ হাজারের বেশি আকাশ ও স্থল লঙ্ঘনের ঘটনাও নথিভুক্ত করেছে।
আইআরজিসি জানায়, প্রতিরোধ অক্ষ “সক্রিয় ও শক্তিশালী” রয়েছে এবং শহীদদের রক্ত স্বাধীনতাকামী জনগণ ও প্রতিরোধযোদ্ধাদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা জোগাবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রতিরোধ ফ্রন্ট এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ তাদের বীর যোদ্ধাদের রক্তের প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার রাখে। উপযুক্ত সময়ে আগ্রাসীর বিরুদ্ধে কঠোর জবাব প্রদান করা হবে।”
বিবৃতির শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, ফিলিস্তিন ও আল-কুদস দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ ফ্রন্ট সামরিক, রাজনৈতিক, গণমাধ্যম ও গণভিত্তিক সব প্রচেষ্টার মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাবে।
আপনার কমেন্ট