হাওজা নিউজ এজেন্সি, মজলিসে খোবারগানের সদস্য আয়াতুল্লাহ খাতেমি পাকদাশতে মসজিদ-এ ইমাম খোমেইনি (রহ.)–এ অনুষ্ঠিত হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)-এর শবে শাহাদাতের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন: আজকের রাতকে যদি ‘শবে আশুরায়ে ফাতিমা’ বলা হয় তবে তা অতিরঞ্জন হবে না।
তিনি বলেন: এই রাত ছিল আমীরুল মুমিনীন ইমাম আলী (আ.)-এর জীবনের সবচেয়ে কঠিন রাতগুলোর একটি। যুদ্ধগুলোতেও কঠিন রাত এসেছে; শবে লাইলা আল-হারীর পুরো রাত যুদ্ধ চলেছিল, কিন্তু কোনো রাতই এই রাতের মতো কঠিন ছিল না। নাহজুল বালাগার ২০২ নম্বর খুতবায় তিনি বলেন: “আমার দুঃখ শাশ্বত, আর আমার রাতগুলো নির্ঘুম থাকবে।”
আয়াতুল্লাহ খাতেমি হযরত জাহরা (সা. আ.)-এর মর্যাদা উল্লেখ করে বলেন: ইমাম খোমেইনি (রহ.) বলেছেন, যদি হযরত জাহরা (সা.আ.) পুরুষ হতেন তবে নবী হতেন। ইমাম-এ-যামান (আ.)-ও বলেন যে আমি রাসুলের (সা.) কন্যার অনুসরণ করি। এর মানে হচ্ছে হযরত জাহরা (সা.আ.) সকল যুগের জন্য সম্পূর্ণ ও সর্বোত্তম আদর্শ।
তিনি আয়াত «إِنّا أَعطَیناکَ الكَوثَر» (নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে কাউসার দান করেছি)–এর তাফসিরে বলেন: হযরত জাহরা (সা.আ.) “শহীদায়ে বেলায়াত”। ফখরুদ্দীন রাজী “খাইরু কাসির”–কে হযরত জাহরা (সা.আ.)-এর বংশধরদের সংখ্যাধিক্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও ফাতিমা (সা.আ.)–এর অনেক সন্তানকে শহীদ করা হয়েছে, আজও বিশ্ব ফাতিমা (সা.আ.)–এর সন্তানদের দ্বারা পরিপূর্ণ। কিন্তু কাউসারের অর্থ তার থেকেও অনেক মহান; এটি শুধু সন্তানের সংখ্যা নয়, বরং পবিত্র সিদ্দিকা তাহেরা (সা.আ.)–এর আঠারো বছরের পবিত্র জীবনের মর্মবাণী ও শিক্ষামালার সমষ্টি।
আপনার কমেন্ট