বুধবার ২৬ নভেম্বর ২০২৫ - ১২:০৪
হযরত জাহরা (সা.আ.) “শহীদায়ে বেলায়াত”

আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আহমাদ খাতেমি বলেছেন: আমেরিকা আলোচনার আগ্রহী নয়; তারা ইরানকে নত করতে চায়। ৪৭ বছর ধরে আমরা “মার্গ বার আমরিকা” বলে আসছি এবং যতদিন আমেরিকার শয়তানি অব্যাহত থাকবে, এই স্লোগান জনগণের মুখ থেকে মুছা যাবে না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি, মজলিসে খোবারগানের সদস্য আয়াতুল্লাহ খাতেমি পাকদাশতে মসজিদ-এ ইমাম খোমেইনি (রহ.)–এ অনুষ্ঠিত হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.)-এর শবে শাহাদাতের অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন: আজকের রাতকে যদি ‘শবে আশুরায়ে ফাতিমা’ বলা হয় তবে তা অতিরঞ্জন হবে না।

তিনি বলেন: এই রাত ছিল আমীরুল মুমিনীন ইমাম আলী (আ.)-এর জীবনের সবচেয়ে কঠিন রাতগুলোর একটি। যুদ্ধগুলোতেও কঠিন রাত এসেছে; শবে লাইলা আল-হারীর পুরো রাত যুদ্ধ চলেছিল, কিন্তু কোনো রাতই এই রাতের মতো কঠিন ছিল না। নাহজুল বালাগার ২০২ নম্বর খুতবায় তিনি বলেন: “আমার দুঃখ শাশ্বত, আর আমার রাতগুলো নির্ঘুম থাকবে।”

আয়াতুল্লাহ খাতেমি হযরত জাহরা (সা. আ.)-এর মর্যাদা উল্লেখ করে বলেন: ইমাম খোমেইনি (রহ.) বলেছেন, যদি হযরত জাহরা (সা.আ.) পুরুষ হতেন তবে নবী হতেন। ইমাম-এ-যামান (আ.)-ও বলেন যে আমি রাসুলের (সা.) কন্যার অনুসরণ করি। এর মানে হচ্ছে হযরত জাহরা (সা.আ.) সকল যুগের জন্য সম্পূর্ণ ও সর্বোত্তম আদর্শ।

তিনি আয়াত «إِنّا أَعطَیناکَ الكَوثَر» (নিশ্চয়ই আমরা তোমাকে কাউসার দান করেছি)–এর তাফসিরে বলেন: হযরত জাহরা (সা.আ.) “শহীদায়ে বেলায়াত”। ফখরুদ্দীন রাজী “খাইরু কাসির”–কে হযরত জাহরা (সা.আ.)-এর বংশধরদের সংখ্যাধিক্যের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও ফাতিমা (সা.আ.)–এর অনেক সন্তানকে শহীদ করা হয়েছে, আজও বিশ্ব ফাতিমা (সা.আ.)–এর সন্তানদের দ্বারা পরিপূর্ণ। কিন্তু কাউসারের অর্থ তার থেকেও অনেক মহান; এটি শুধু সন্তানের সংখ্যা নয়, বরং পবিত্র সিদ্দিকা তাহেরা (সা.আ.)–এর আঠারো বছরের পবিত্র জীবনের মর্মবাণী ও শিক্ষামালার সমষ্টি।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha