হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ নাজফে আলাভি কমপ্লেক্সের আলাভি হল-এ আয়োজিত আন্তর্জাতিক “মুহাক্কিক মির্জা নায়িনি” সম্মেলনে আয়াতুল্লাহ আ’রাফি বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে হাওজার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি মির্জার মহান ব্যক্তিত্ব, তাঁর বৈজ্ঞানিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকা এবং হাওজা ইলমিয়ার ইতিহাসে তাঁর বিশেষ স্থান সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
হাওজা ইলমিয়ার পরিচালক সম্মেলনে আগত ব্যক্তিবর্গ, আলেম-ও-ফুযালা, নাজফ ও কুমের মারাজে তাকলিদের প্রতিনিধিগণ, ইমাম খোমেইনীর পরিবার, রাহবারে মো’আজ্জাম ইনকিলাবের দপ্তর, আয়াতুল্লাহ আল-উজমা সিস্তানির দপ্তরসমূহ, বিশেষ করে আতবা-এ-মুকাদ্দাসা আলাভিয়া ও আতবা-এ-মুকাদ্দাসা হুসাইনিয়া, সম্মেলনের সেক্রেটারি জেনারেল, আয়াতুল্লাহ নায়িনীর পরিবার ও সকল অংশগ্রহণকারীকে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশেষভাবে আয়াতুল্লাহ সিস্তানির সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন—এ ধরনের সম্মेलन কেবল মহান হাওযাভিত্তিক চিন্তাবিদ ও ইসলামী-শিয়া ইতিহাসের সংস্কারক ব্যক্তিত্বদের পরিচয়কে তুলে ধরেই রাখে না, বরং হাওযা ইলমিয়াকে বিশ্ববাসী, নতুন প্রজন্ম এবং বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনের কাছে পরিচিত করায়।
তিনি বলেন: তাছাড়া, এটি হাওযা ও জ্ঞানবিজ্ঞানী সমাজে ইসলামী ও হাওজাভিত্তিক পরিচয়ের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করবে। একই সঙ্গে নতুন প্রজন্মের হাওজাবিদদের জন্য এটি অনুপ্রেরণার উৎস হবে; কারণ এর মাধ্যমে তারা হাওযার আলেমদের ইলমী জিহাদ, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবে। এসবই হাওযাবিদদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে আলোকবর্তিকার মতো কাজ করবে।
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি তাঁর বক্তব্যের পরবর্তী অংশে এই মূল্যবান ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তিনটি মূল বিষয় ব্যাখ্যা করেন।
প্রথম বিষয়: মির্জা নায়িনীর প্রজ্ঞা ও তাঁর বৈজ্ঞানিক-বৌদ্ধিক ব্যক্তিত্ব
আয়াতুল্লাহ আ’রাফি প্রথম বিষয়ের ব্যাখ্যায় বারোটি মূল দিক উল্লেখ করে তাঁর বৈজ্ঞানিক ব্যাপকতা, ব্যক্তিত্বের গভীরতা এবং অসাধারণ প্রজ্ঞার কথা বলেন।
হাওজা ইলমিয়ার পরিচালক প্রথম পয়েন্টে বলেন: মারহুম নায়িনি (রহ.) অতি শক্তিশালী স্মৃতিশক্তি ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তার অধিকারী ছিলেন। আরবি ভাষায় অত্যন্ত শক্তিশালী ও সাবলীল লেখনী ছিল তাঁর; পাশাপাশি আরবি ও ফারসি উভয় ভাষায় সহজ, স্বচ্ছ ও সুন্দর শৈলীতে লেখার ক্ষমতা ছিল। এসব দক্ষতার পাশাপাশি, তিনি ছাত্র তৈরি ও তাদের ইলমী-আধ্যাত্মিক অবস্থার তত্ত্বাবধানে ছিলেন অত্যন্ত সক্ষম ও যোগ্য। তিনি এমন এক প্রজন্মের মেধাবী ও কৃতি ছাত্র সৃষ্টি করেন যারা তাঁর চিন্তাধারাকে সুন্দরভাবে বহন করেছে। নাজফসহ ইসলামী দেশগুলোর বিভিন্ন হাওযা ও ইরানের মারাজে ও আলেমরা তাঁদের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছেন।
এভাবে আমরা দেখি—মারহুম নায়িনীর (রহ.) চিন্তা ও ব্যক্তিত্বে বিভিন্ন অনন্য বৈশিষ্ট্য একত্রিত হয়েছিল: প্রজ্ঞা, অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, শক্তিশালী স্মৃতি, এবং বৈজ্ঞানিক বহুমাত্রিক দক্ষতা। অন্তর্নিহিত এসব প্রতিভার পাশাপাশি অর্জিত যোগ্যতাও তাঁর মধ্যে ছিল, এবং তিনি নিরলস প্রচেষ্টা, অবিরাম পরিশ্রম ও ধারাবাহিক সাধনার মাধ্যমে তাঁর উচ্চ ইলমী ও বৌদ্ধিক অবস্থানে উপনীত হয়েছিলেন।
আপনার কমেন্ট