হাওজা নিউজ এজেন্সি: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, একই সময়ে আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৯ জন। সীমাহীন চিকিৎসা সংকট, ওষুধের ঘাটতি, অবরোধ এবং হাসপাতালগুলোর জ্বালানিসঙ্কট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
২৪ ঘণ্টায় নতুন ক্ষয়ক্ষতি
গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতাল তিনজন শহীদের মরদেহ গ্রহণ করেছে এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ গাজার অনেক এলাকা এখনো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ঘেরাও অবস্থায় রয়েছে।
ধ্বংসস্তূপে আটকে হাজারো মানুষ
গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো হাজারো মানুষ নিখোঁজ। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে উদ্ধারকারী দলগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে ধ্বংসস্তূপ সরাতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের অনেকেই ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
যুদ্ধবিরতির পরও সহিংসতা
২০২৫ সালের ১১ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পরও হামলা ও সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭৯ জন নিহত এবং ৯৯২ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া উদ্ধারকারী দলগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
মানবিক সংকট চরমে
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গাজায় খাদ্য, পানি, ওষুধ ও আশ্রয়ের তীব্র সংকট বিরাজ করছে। অবরোধ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ চিত্র পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
আপনার কমেন্ট