হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, "ইসরাইলের সমালোচনা এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (রাহবার) আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনেয়ীর প্রশংসা করায় মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইরানী বংশোদ্ভূত সহকারী অধ্যাপিকা শিরীন সাঈদীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেছে।"
এ খবর নিয়ে কিছু কথা
মাযুরায় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার আসল স্বরূপ:
এখন বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ধ্বজাধারী ও দাবিদার মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের শিক্ষকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা গেল কোথায়?!!
ইসরাইলের সমালোচনা এবং আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর প্রশংসা করার জন্য আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইরানী বংশোদ্ভূত সহকারী অধ্যাপিকা শীরীন্ সাঈদীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।কেন?কারণ,মাযুরায় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার লাল বর্ডার লাইন হচ্ছে ইসরাইল।
ইসরাইলের সমালোচনা এবং ইসরাইলের জানের শত্রু ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃবৃন্দের বিশেষ করে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার প্রশংসা মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) কাছে বিরাট বড় জঘন্য অন্যায় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য।তখন বাক ও মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা আর দেওয়া হয় না!!!! তাহলে বোঝা গেল যে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মাযুরায় (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার চৌহদ্দি ও শেষ সীমা রয়েছে। আসলে গোটা পাশ্চাত্যের মতাদর্শের মেরুদণ্ড হচ্ছে ইসরাইল এবং ইসরাইলের সমালোচনা ও বিরোধিতায় পাশ্চাত্যের মতাদর্শের ভিত্তিমূল নড়বড়ে ও দুর্বল হয়ে যায়।
তাই তখন পশ্চিমারা কঠোর হস্তে ইসরাইলের সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করে দেয়। আর পাশ্চাত্যে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার আসল স্বরূপ ও হাকীকত এখান থেকে বেশ স্পষ্ট হয়ে যায়।
রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
আপনার কমেন্ট