শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৮:০২
সবাইকেই শিক্ষক হতে হবে

পরিবারকে এমন একটি শিক্ষালয়ে পরিণত করতে হবে, যেখানে ইসলামের বিধান শিক্ষা দেওয়া হবে, নৈতিক চরিত্র গড়ে তোলা হবে এবং শিশুদের পরিশুদ্ধভাবে শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরিবার হলো সেই প্রথম বিদ্যালয়, যেখানে সন্তানদের ব্যক্তিত্ব, ঈমান ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: যুবসমাজের চরিত্র গঠন ও মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব মোটেও সহজ নয়। এজন্য একটি জাতির প্রতিটি মানুষকেই শিক্ষক হতে হবে— বিশেষত নিজের সন্তানের শিক্ষক। ইসলামের দৃষ্টিতে সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তি একই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী; অর্থাৎ প্রত্যেককে শেখানোর পাশাপাশি শিখতে হবে।

মায়েদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাদের দায়িত্ব হলো সন্তানদের প্রথম শিক্ষক হওয়া। যেন একজন দক্ষ শিক্ষকের মতো তারা নিজেদের কোলেই সন্তানদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন, নৈতিক মূল্যবোধ শেখান এবং চরিত্র গঠনে সহায়তা করেন। বাবাদেরও দায়িত্ব কম নয়; তাদেরও উচিত সন্তানদের শিক্ষাদান ও নৈতিক গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

পরিবারকে একটি পূর্ণাঙ্গ বিদ্যালয়ে পরিণত করা হলে, শিশুরা ইসলামের বিধান, নৈতিক শিক্ষার মূলনীতি এবং সামাজিক শিষ্টাচার আয়ত্ত করতে পারে। অভিভাবকদের দায়িত্ব হলো নৈতিকভাবে গড়ে ওঠা, শিষ্টাচারসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষকদের হাতে তুলে দেওয়া; এরপর শিক্ষকরা তাদেরকে আরও গভীরভাবে শিক্ষা, আদর্শ ও চরিত্র গঠনে সাহায্য করবেন।

সুতরাং, পরিবারের প্রতিটি সদস্য—মাতা, পিতা এবং সন্তানদের চারপাশের সমাজ—সকলকে শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় পরিবার একটি সমন্বিত শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে, যা ভবিষ্যতের সমাজকে নৈতিক, দায়িত্বশীল ও ঈমানদার নাগরিক দিয়ে পরিপূর্ণ করবে।

সূত্র: ইমাম খোমেনি (রহ.), সহিফাহে নূর, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ১৪০।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha