হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: এই শয়তানটাকে জিজ্ঞেস করা দরকার যে যারা কলেমাগো আহলুল কিবলাকে কাফির বলে সে আসলেই পথভ্রষ্ট বিচ্যুত এবং শয়তানের অনুসারী । শিয়ারা আহলে কিবলা , তারা কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায আদায় করে । তারা পবিত্র কুরআন , মহানবী সা এবং তার আহলুল বাইতের অনুসারী অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর অনুসারী । তারা হজ্জব্রত পালন করে পবিত্র মক্কায় । মক্কা ও মদীনায় শিয়ারা প্রবেশ করে কিন্তু কাফির মুশরিকদের এ দুই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ ।
সুতরাং শিআরা মুসলমান না হয়ে কিভাবে মদীনায় এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাসিন্দা শিয়া ।
এই তাকফীরীকে জিজ্ঞেস করা দরকার যে যারা কলেমাগো আহলুল কিবলাকে কাফির বলে তারা আসলেই পথভ্রষ্ট বিচ্যুত এবং শয়তানের অনুসারী । শিয়ারা আহলে কিবলা , তারা কাবা শরীফের দিকে মুখ করে নামায আদায় করে রোযা রাখে খুমুস ও যাকাত আদায় করে । তারা পবিত্র কুরআন , মহানবী ( সা )এবং তার আহলুল বাইতের ( আ) অনুসারী অর্থাৎ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহরই অনুসারী । তারা হজ্জব্রত পালন করে পবিত্র মক্কায় । সুন্নী মুসলমানদের মতো শিয়া মুসলমানরাও পবিত্র মক্কা ও মদীনায় প্রবেশ করে । কিন্তু কাফির মুশরিকদের এ দুই পবিত্র নগরীতে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ ।
সুতরাং শিয়ারা যদি মুসলমান না হয় তাহলে কিভাবে পবিত্র মক্কা ও মদীনা নগরীর বাসিন্দাদের এক উল্লেখযোগ্য অংশ ইমামীয়া ইসনা আশারীয়া ( বারো ইমামী ) শিয়া মুসলিম সেই হিজরী প্রথম শতাব্দী অর্থাৎ হযরত রাসূলুল্লাহর ( সা.) যমানা ( যুগ ) থেকেই ? আয়াতুল্লাহ আল আমরী যিনি ২০১১ সালে মদীনায় ইন্তিকাল করেন তিনি ছিলেন খাযরাজ গোত্রীয় আনসার বংশোদ্ভূত পবিত্র মদীনা নগরীর নুখাইলা মহল্লার অধিবাসী । তিনি ছিলেন পবিত্র মদীনা নগরীর শীয়া মুসলমানদের নেতা এবং সৌদি আরব সরকারের কাছে সে দেশের শীয়া মুসলমানদের প্রতিনিধি । স্মর্তব্য যে সৌদি আরবে ৪ মিলিয়নের অধিক শীয়া মুসলমান বসবাস করছেন । আয়াতুল্লাহ আল আমরী ছিলেন ইমাম খোমেইনী , আয়াতুল্লাহ খূঈ , আয়াতুল্লাহ খামেনেঈ ও আয়াতুল্লাহ সীস্তানীর প্রতিনিধি । তাঁর নামাযে জানাযা ছিল মদীনায় স্মরণাতীত কালের সবচেয়ে বড় নামাযে জানাযা ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠান । তাঁকে জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে দাফন করা হয় । তাঁর দাফন অনুষ্ঠানে আয়াতুল্লাহ খামেনেঈর পক্ষ থেকে আয়াতুল্লাহ জান্নাতী অংশগ্রহণ করেছিলেন । সুতরাং এ বেয়াদব গোমরাহ লোকটা কিভাবে শীয়া মুসলমানদেরকে কাফির বলে ? কেবল মাযহাবী মতপার্থক্যের কারণে এক ইসলামী মাযহাবের অনুসারীরা অন্য ইসলামী মাযহাবের অনুসারীদেরকে কাফির বলতে পারে না । শীয়ারা কাফির হলে সৌদি আরব কিভাবে বিশ্বের শীআ মুসলমানদেরকে হজ্জ ও উমরাহ করার ভিসা প্রদান করে ?
সুতরাং এ তাকফীরীর উচিত শীয়া মুসলমানদের সম্পর্কে ও ফুরফুরার অনুসারীদের সম্পর্কে যে সব খারাপ মন্তব্য করেছে সেগুলো অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা । পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত শীয়া এবং হযরত আলীর ( আ.) শীয়ারা যদি এক না হয় তাহলে সহীহ রিওয়ায়তে হযরত আলী ও তাঁর শীয়াদেরকে কেন বলা হয়েছে খাইরুল বারীয়াহ (সর্বোত্তম সৃষ্টি ) এবং তারাই সফলকাম ( ফায়েয ) ?!! আর হযরত আলীর ( আ.) এই শীয়ারা হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ও হযরত আলীর ( আ ) যুগ থেকেই আজ পর্যন্ত পবিত্র মক্কা ও মদীনায় এবং হিজায অঞ্চলে বসবাস করছেন । যারা শাহাদাতাইন দেয় ও কলেমা পড়ে : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা ) পাঠ করে ও নিজেদেরকে মুসলিম বলে তাদেরকে কাফির বলা কখনোই জায়েয হবে না । সুতরাং এ ধরণের বিভেদ সৃষ্টিকারী উক্তি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য পরিহার ও বর্জন করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে ।
(মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান)
আপনার কমেন্ট