বুধবার ২৭ জুলাই ২০২২ - ১৯:২৯
গবেষক ও সাংবাদিক অ্যান্টনি বারা

হাওজা / কুয়েতি গবেষক ও সাংবাদিক অ্যান্টনি বারা বলেছেন, শত্রুরা বহু শতাব্দী ধরে ইমামদের (আ.) অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করেছে কিন্তু তারা কখনোই এই লক্ষ্যে সফল হয়নি, কারণ আশুরা এখনও আছে এবং সকল মানুষ ভক্তি সহকারে আশুরা উদযাপন করে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, কুয়েতি গবেষক এবং সাংবাদিক "আন্তোনি বারা" হাওজা নিউজ এজেন্সির সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন,

বিশ্বে আমরা এটাও দেখি যে, পৃথিবীর সকল ধর্মই আমিরুল মুমিনীন (আ.) এবং অন্যান্য ইমামদের বিশেষ করে ইমাম হোসাইন (আ.) কে ভালোবাসে।

তিনি আরও বলেন, শত্রুদের বিশ্বাসঘাতকতার একটি বড় উদাহরণ আশুরার ঘটনা, কিন্তু তারা কি আশুরায় ইমাম হোসাইনের লক্ষ্য ঠেকাতে সফল হয়েছে?একেবারেই না, আশুরা বেঁচে আছে এবং ইমাম হোসাইন (আ.)-এর ভক্তরা এখনও তাকে ভালোবাসে। তাই আমি আবারও বলছি, ইমামদের (আ.) ওপর হামলা করে শত্রুরা তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারবে না।

কুয়েতি সাংবাদিক বলেন, শত্রুদের বিশ্বাসঘাতকতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সকীফাহ দিবস, মহানবী গাদীরে খুমে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে আমিরুল মুমিনীন (আ.) সকলের মাওলা, কিন্তু শত্রুরা মিথ্যা অজুহাতে মেনে নিতে চায়নি। কিন্তু আমাদের সকলের অন্তরে আমিরুল মুমিনীন (আ.)-এর অস্তিত্ব ও ভালোবাসা রয়ে গেছে।

এ প্রশ্নের জবাবে আমিরুল মুমিনীন (আ.)-এর অস্তিত্বকে কি উম্মাহর ঐক্য মজবুত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে? তিনি বলেন: গাদীরে খুম ঐক্যের দিকনির্দেশনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তাই গাদীরের ঘটনা সম্পর্কিত ভালো একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক সম্মেলন ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে। এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হতে পারে, এই সম্মেলন অবশ্যই ঐক্যের পথে একটি পদক্ষেপ হবে।

শেষে অ্যান্টনি বারা বলেন, আমার দৃষ্টিতে এ ধরনের সম্মেলন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হওয়া উচিত, তবে এর মধ্যেই চরমপন্থা পরিহার করতে হবে এবং প্রকৃত লক্ষ্য হতে হবে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য। গাদীরকে অক্ষ হিসেবে রেখেই এই ঐক্য সম্ভব তাই এ ব্যাপারে আমাদের আরও বেশি প্রচেষ্টা ও বিনিয়োগ প্রয়োজন।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha