হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ কয়েকটি মসজিদ নিয়ে সংঘর্ষ চলছে। বিষয়টি মসজিদ থেকে সামভাল ও জোনপুর হয়ে আরও অনেক মসজিদে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই দাঙ্গার পেছনের সত্যতা কী, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির ইতিহাসবিদ এম কে পান্ডির কারণ বর্ণনা করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থান নিয়ে বিতর্ক চলছে।
সামভালের ঐতিহাসিক জামে মসজিদ নিয়ে বিরোধ আবারও ধর্মীয় ও সামাজিক সংঘর্ষে ইন্ধন দিয়েছে।
এ বিষয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ এম কে পান্ডির বলেন, মসজিদের জমির মালিকানা প্রশ্নে শুধু স্থানীয় জনগণই বিভক্ত নয়, আদালত ও প্রশাসনও এ ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে।
এই দ্বন্দ্ব ধর্মীয় সহনশীলতা এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্যের জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কারণ আগেকার যুগে যেকোনো ধর্মীয় স্থানে অন্য ধর্মীয় স্থানের উপকরণ ব্যবহার করা হতো। যার কারণে কোনো ধর্মীয় স্থানের অস্তিত্ব জানা খুবই কঠিন।
আটালা মসজিদ জোনপুর বিতর্ক নিয়ে ঐতিহাসিক এম কে পান্ডির বলেছেন যে জোনপুরের প্রাচীন যন্ত্র এবং তাদের স্থাপত্যের ইতিহাস নিজের মধ্যেই অমূল্য।
কিন্তু এর মধ্যে একটি মসজিদের মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন এটিকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
এই মসজিদ সম্পর্কিত চিত্রগুলি এর গৌরবময় ইতিহাস এবং বর্তমান আইনী তথ্যের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করে। কিন্তু এই মসজিদে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ থেকে জানা যায় যে এই মসজিদটি যখন নির্মিত হয়েছিল তখন একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ ব্যবহার করা হয়েছিল।
এখন বলা মুশকিল যে মন্দিরটি এখানে ছিল নাকি কাছাকাছি ছিল।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এম কে পান্ডির বলেন, প্রেমের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত মুঘল শাসক শাহজাহানের নির্মিত তাজমহল নতুন বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঐতিহাসিক তথ্য এবং ধর্মীয় দাবির মধ্যে আঁকা রেখা এই বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানটিকে বিতর্কের বিষয় করে তুলেছে। এখন প্রশাসন ও বিচার বিভাগও এ সমস্যা সমাধানে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
ইতিহাস হিসেবে যদি কথা বলা হয়, তাজমহলে কোন ধরনের মন্দিরের অবশেষ সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
আপনার কমেন্ট