হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের হাওজা ইলমিয়ার প্রধান আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফি তার বার্তায় গবেষণা সপ্তাহকে একটি সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এই সময়টি গবেষকদের জন্য আধুনিক বিষয় এবং বর্তমান একাডেমিক চ্যালেঞ্জের প্রতি তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার সর্বোত্তম সুযোগ।
তিনি বলেন যে হাওজা ইলমিয়ার মূল লক্ষ্য হল "ইসলামী ও মানব বিজ্ঞানের সৃষ্টি" এবং এর জন্য আলেম, শিক্ষক এবং ছাত্রদের একটি নিয়মতান্ত্রিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
আয়াতুল্লাহ আরাফী হাওজা ইলমিয়ার গবেষকদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা ও আধুনিক গবেষণা পদ্ধতির সমন্বয় ও প্রয়োগের মাধ্যমে বিপ্লবী উদ্দেশ্যে এবং ইসলামী সভ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন যে গবেষণা একটি "সবুজ ও উর্বর ক্ষেত্র" যা ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের একটি উৎস এবং যার মাধ্যমে আমরা মানব সমাজের সম্মুখীন সমস্যার সমাধান দিতে পারি।
তিনি আরও বলেন, হাওজা ইলমিয়ার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিগত বছরগুলোতে গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে, যা তাদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও গতিশীল মনের অধিকারী হওয়ার প্রমাণ।
তিনি বলেন, গবেষকদের উচিত তাদের একাডেমিক ও গবেষণা প্রচেষ্টাকে ইসলামী শিক্ষার আলোকে উপস্থাপন করা এবং সামাজিক শূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখা।
আয়াতুল্লাহ আরাফি ফিলিস্তিন, ইয়েমেন এবং অন্যান্য নিপীড়িত জাতির দুর্দশার কথা তুলে ধরে বলেন, এসব বিষয়ে ধর্মীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা আলেম ও গবেষকদের কর্তব্য।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে হাওজা ইলমিয়ার গবেষকরা তাদের প্রচেষ্টায় শুধুমাত্র ধর্মীয় অধ্যয়নের প্রচারই করবেন না, বরং মুসলিম উম্মাহর মুখোমুখি চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধানও দেবেন।
পরিশেষে তিনি দোয়া করেন ছাত্রদের এই একাডেমিক প্রচেষ্টা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং হযরত ওয়ালী আসর (আ.)-এর দোয়ার কারণ।
আপনার কমেন্ট