হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবী নেতা সমালোচনা করেছেন যে, মিম্বর ও গ্রন্থসমূহে ইমাম জাওয়াদ, ইমাম হাদি এবং ইমাম আসকারি (আ.) সম্পর্কে খুব কম আলোচনা করা হয়েছে। তিনি বলেছেন: "শিয়া সম্প্রদায় ইতিহাসের কোনো সময়েই এই তিন ইমামের যুগে যেমন পরিমাণগত ও গুণগত দিক থেকে বিস্তৃত হয়নি।"

 (শনিবার, ১৫ই দেই) ইসলামী বিপ্লবী নেতা ইমাম হাদি (আ.)-এর শাহাদাত উপলক্ষে আয়োজিত শোকসভা শেষে বক্তব্য রাখেন। তিনি এই মহিমান্বিত ইমাম এবং তার পিতা ও সন্তানের শিয়া সম্প্রদায়ের পরিমাণগত ও গুণগত বিস্তারে অবদান সম্পর্কে বলেন: "ইসলামের ইতিহাসের কোনো যুগে শিয়া সম্প্রদায় এই তিন ইমামের যুগের মতো বিস্তৃত ছিল না। ইমাম হাদি ও ইমাম জাওয়াদের সময় বাগদাদ এবং কুফা শিয়াদের মূল কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং শিয়া জ্ঞানের প্রসারে তাদের অবদান অতুলনীয়।"

তিনি ইতিহাস, সাহিত্য ও শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই তিন ইমামের জীবন ও শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। একইসাথে তিনি এ ব্যাপারে অবহেলার সমালোচনা করে বলেন: "দুঃখজনকভাবে, আমাদের ইতিহাসলেখা, গ্রন্থ রচনা এমনকি মিম্বরে এই তিন ইমামের জীবন ও শিক্ষার প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে গবেষক ও শিল্পীরা এ বিষয়ে কাজ করেন এবং আরও বেশি সাহিত্যিক ও শিল্পকর্ম সৃষ্টি করেন।"

তিনি আরও "জিয়ারত জামেয়া কবিরা" নামক দোয়াটিকে একটি অতুলনীয় সম্পদ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন: "যদি ইমাম হাদি (আ.)-এর প্রচেষ্টা না থাকত, আজ আমাদের কাছে এই জিয়ারত জামেয়া কবিরা থাকত না। এতে বিদ্যমান শিক্ষাগুলি, যা কুরআনের আয়াত ও শিয়া সম্প্রদায়ের বিশুদ্ধ সত্যের ভিত্তিতে রচিত, ইমাম হাদি (আ.)-এর গভীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার সাক্ষ্য দেয়।"

তিনি একটি উপন্যাসের কথা উল্লেখ করেন, যেখানে সম্প্রতি তিনি ইমাম জাওয়াদ (আ.)-এর একটি অলৌকিক ঘটনার বর্ণনা পড়েছেন। তিনি এই ধরনের শিল্পকর্মের অভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এ বিষয়ে আরও বেশি শিল্পকর্ম তৈরি করা উচিত।