হাওজা নিউজ এজেন্সি, হাওজা ইলমিয়া উচ্চ পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ মোহসেন আরাকি "ইসলামি অর্থনীতি: উৎস থেকে ব্যবহারিক মডেল পর্যন্ত" শীর্ষক এক বৈঠকে বলেন:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI) জ্ঞান ও ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই প্রযুক্তি ফিকহ ও আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বিশ্লেষণের জন্য একটি ভিত্তি সরবরাহ করে। যদি আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দর্শন সম্পর্কে সঠিক ও সুস্পষ্ট ধারণা উপস্থাপন করতে না পারি, তাহলে ফিকহি ও আইনি আলোচনা ও সিদ্ধান্তও যথাযথ ও নির্ভুল হবে না।
সমাজ ও শাসনব্যবস্থার সম্পর্ক
তিনি আরও বলেন:
ইসলামি শাসনব্যবস্থায় সব ক্ষেত্র—রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক—ব্যক্তির নয় বরং সমাজের কার্যক্রমের ওপর নির্ভরশীল। সমাজ হলো জনগণ ও সরকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি কাঠামো, যেখানে উভয় পক্ষ সামাজিক আচরণ গ্রহণ করে।
সামাজিক আচরণকে 'নিয়ম' বা 'প্রণালী' বলা হয়, কারণ এগুলো সম্মিলিত কার্যক্রমের অংশ, যা সুশৃঙ্খল হওয়া প্রয়োজন। যদি এগুলো নিয়মতান্ত্রিক না হয়, তাহলে সমাজ বিশৃঙ্খলার শিকার হবে। এই শৃঙ্খলা কেবল সরকার বা জনগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং উভয় ক্ষেত্রেই থাকতে হবে।
আনুগত্য ও ন্যায়বিচার
মাজলিসে খুবরেগানে রাহবারি-এর এই সদস্য বলেন:
আনুগত্য মানে অন্যায় সহ্য করা নয়। কিছু লোক মনে করে যে আনুগত্য ও নেতৃত্ব মানেই অন্যায় ও দমননীতি, কিন্তু এটি সঠিক নয়। প্রত্যেক সমাজ পরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় কর্তৃত্ব ও শাসনব্যবস্থা প্রয়োজন, এবং এই বিষয়ে ইসলামি ও অ-ইসলামি শাসনব্যবস্থার মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।
আপনার কমেন্ট