হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি গতকাল বুধবার বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই পরিকল্পনার কঠোর নিন্দা করছে তেহরান। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের সীমান্ত বৃদ্ধির পরিকল্পনা এবং ফিলিস্তিনি জাতিগোষ্ঠীর পরিচয় মুছে ফেলার ভয়াবহ নীলনকশা বলে মন্তব্য করেন ইসমাইল বাকায়ি।
তিনি বলেন, গাজা উপত্যকা পরিষ্কার করার নামে জোরপূর্বক সেখানকার লোকজনকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা প্রকৃতপক্ষে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের ‘হিসেবি এজেন্ডা’ যার লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনি জাতিকে মুছে ফেলা।
ইসমাইল বাকায়ি আরো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা দখলে নেয়ার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের নজিরবিহীন লঙ্ঘন। মার্কিন এই পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, গত ৭৬ বছর ধরে ফিলিস্তিনে জনগণ ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন, তারা বর্ণবাদী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শক্তভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন এবং কোনভাবেই তারা তাদের পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি ছাড়তে চান না।
আরও এক আহ্বানে বাকায়ি বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই ধরণের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান, বিশেষ করে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার এবং দখলদারিত্ব থেকে মুক্তির অধিকারকে সমর্থন করার জন্য বিশ্বের সকল সরকারের দায়িত্বের কথা তুলে ধরেন।
তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থনের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের এই প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানাই।”
তিনি এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইসলামী ও আঞ্চলিক দেশগুলির সর্বসম্মত বিরোধিতার প্রশংসা করেন এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) কে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় এবং ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের আহ্বান জানান।
আপনার কমেন্ট