হাওজা নিউজ এজেন্সি: আল-হুথি বলেন, “ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে তা কেবল একটি গণহত্যা নয়, বরং এটি ক্ষুধানির্ভর গণহত্যা। প্রতিদিন শিশুরা মারা যাচ্ছে, অথচ বিশ্ব নীরব।”
তিনি অভিযোগ করেন, শত কোটি মুসলমান ও আরবদের উপস্থিতির মাঝেও গাজাবাসীরা চরম ক্ষুধার মুখে — যেন মুসলিম উম্মাহ এক পঙ্গু জাতিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, “আরব ও মুসলিম নেতাদের এই নিষ্ক্রিয়তা ও বিবেকহীনতা আজ মুসলিম উম্মাহকে লজ্জিত করেছে। এই নীরবতা ইসরায়েলের সহিংসতাকে আরও উসকে দিয়েছে।”
আল-হুথি অভিযোগ করেন, গাজায় তথাকথিত সহায়তা কেন্দ্রগুলো আসলে মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে, যেখানে খাদ্যের আশায় আসা মানুষদের ইসরায়েলি বাহিনী গুলি করে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, “ইসরায়েলের এই দমননীতির পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি রাজনৈতিক, সামরিক ও গোয়েন্দা সহায়তা। এই মার্কিন-ইসরায়েলি হুমকি কেবল ফিলিস্তিনের নয়, গোটা মুসলিম বিশ্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
আল-হুথি বলেন, “যেখানে অধিকাংশ মুসলিম দেশ নীরব, সেখানে ইয়েমেন ইসরায়েল-সম্পৃক্ত জাহাজ ও অবকাঠামোর ওপর সামরিক আঘাত হানছে।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল ও ব্রিটেনের সম্মিলিত হামলার পরও ইয়েমেনের অবস্থান অটল।
“আমরা প্রতিরোধে অঙ্গীকারবদ্ধ, বিজয়ে আশাবাদী। অর্থনৈতিক অবরোধ ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধেও আমরা মাথা নোয়াবো না।”
আল-হুথির ভাষায়, “ফিলিস্তিনিরা আমাদেরই অংশ। তাদের কষ্ট গোটা উম্মাহর যন্ত্রণা। ইহুদি-সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধই এখন সময়ের দাবি।
আপনার কমেন্ট