হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রেস টিভির খবর অনুযায়ী- বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর প্রদেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং অভিজাতদের সাথে এক বৈঠকে পেজেশকিয়ান বলেন, “শত্রুরা চায় নিষেধাজ্ঞা ও হুমকি দিয়ে তাদের সামনে আমাদের নতজানু করতে, কিন্তু আমরা নতজানু হব না এবং জনগণের সঙ্গে নিয়ে আমাদের সমস্যা সমাধান করব।”
তিনি ইরানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরস্পরবিরোধী মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে তিনি ইরানের সাথে আলোচনা করতে চান কিন্তু একই সাথে তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোরতম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।”
“আমরা চাই না কেউ আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুক”, পেজেশকিয়ান বলেন, “তবে এমন নয় যে আমেরিকা যদি আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, আমরা কিছুই করতে পারব না। আমরা অবশ্যই তা প্রতিরোধ করব এবং দেশীয় সক্ষমতার উপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করব।”
তিনি শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের চেতনায় সকল দেশের সাথে যোগাযোগের জন্য ইরানের নীতি পুনর্ব্যক্ত করে জোর দিয়ে বলেন, “আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করি।”
পেজেশকিয়ান আলোচনার জন্য ইরানের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এবং ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ক্ষেত্রে ইরানি জনগণের প্রবেশাধিকার সীমিত করার সময় তেহরানের সাথে আলোচনায় আগ্রহী হওয়ার বিষয়ে ওয়াশিংটনের দাবির সমালোচনা করেছেন।
তিনি আরও বলেন যে, সংহতি, মিথস্ক্রিয়া এবং পরিকল্পনা অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৬ ফেব্রুয়ারি, ট্রাম্প ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে তার তথাকথিত সর্বোচ্চ চাপ কৌশল পুনরুজ্জীবিত করার পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের সাথে আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে ইচ্ছুক বলে ঘোষণা করার দুই দিন পর, কিন্তু তেহরানের বিরুদ্ধে তার তথাকথিত “সর্বোচ্চ চাপ” প্রচারণা পুনরুদ্ধার করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হল।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ প্রদেশে একই সফরে রাষ্ট্রপতি অন্যত্র বলেছিলেন যে, “শত্রু আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করার হুমকি দিচ্ছে। আসো,আঘাত করো; আমাদের বিশেষজ্ঞরাই এগুলো তৈরি করেছেন। যদি তোমরা ১০০টি সামরিক স্থাপনায় আঘাত করো, আমাদের বিশেষজ্ঞরা ১,০০০টি পারমাণবিক স্থাপনা তৈরি করে প্রতিস্থাপিত করবে।”
আপনার কমেন্ট