সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ - ১৬:২৪
দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি আলোচনার আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে

ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনি বন্দীদের সপ্তম গ্রুপ মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাবে না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি ইরনা’র বরাতে জানিয়েছে- হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্র বন্দীদের মুক্তি বিলম্বিত করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন অব্যাহত রেখেছে। 

কাসেম আরও বলেছেন, আমেরিকার সমর্থনে ইসরায়েলি রাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে আমরা মধ্যস্থতাকারীদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। 

হামাসের মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেছেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি বাড়ানো বা দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি নিয়ে আলোচনার আগে ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনি বন্দীদের সপ্তম গ্রুপ মুক্তি দিতে হবে। 

হাজেম কাসেম জোর দিয়ে বলেছেন, প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি বাড়ানো আলোচনার টেবিলে উত্থাপিত বিষয় এবং দখলদার রাষ্ট্রকে তার প্রতিশ্রুতি পালনে বাধ্য করার জন্য প্রদত্ত গ্যারান্টির উপর নির্ভরশীল। 

হামাসের মুখপাত্র আরও বলেছেন, মধ্যস্থতাকারী এবং এমনকি আমেরিকাকেও জোরালো গ্যারান্টি প্রদান করতে হবে। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস শনিবার রাতে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বন্দীদের মুক্তি নিয়ে “উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান” না হওয়ার গ্যারান্টি না পাওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের নতুন পর্যায়ে মুক্তি দেওয়া হবে না। 

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলি বন্দীদের নিয়ে “উস্কানিমূলক অনুষ্ঠান ও প্রচারণামূলক ব্যবহার” করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। 

অন্যদিকে, ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল 'কান' সোমবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের চার বন্দীর দেহ বিনিময়ের আগে ফিলিস্তিনি বন্দীদের একটি নতুন গ্রুপ মুক্তি দেওয়া হবে। 

আমেরিকার সমর্থনে ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছিল, কিন্তু হামাস আন্দোলন ধ্বংস এবং যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল, ফলে হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বাধ্য হয়েছিল। 

১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ইসরায়েলি রাষ্ট্র এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় চুক্তি কার্যকর হয়েছিল, যার তিনটি পর্যায় ছিল এবং প্রতিটি পর্যায় ৪২ দিন স্থায়ী হয়েছিল। 

এই চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শর্তানুযায়ী, গাজায় আটক ৩৩ ইসরায়েলি বন্দীকে ধাপে ধাপে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে প্রায় ১৭০০ থেকে ২০০০ ফিলিস্তিনি ও আরব বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হবে।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha