হাওজা নিউজ এজেন্সি: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭২ পৃষ্ঠার এই আবেদন গত মাসে আইসিসিতে জমা দেওয়া হলেও ২০২৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তা প্রকাশ্যে আসে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন নেতৃত্ব ইসরায়েলকে সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন প্রদান করেছে, যা গাজায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে সহায়তা করেছে।
DAWN-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া ইসরায়েলের পক্ষে গাজায় এ ধরনের অপারেশন চালানো সম্ভব হতো না। এ কারণে তারা আইসিসিকে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ICC-এর সদস্য নয় এবং আইসিসির এখতিয়ারকে স্বীকৃতি দেয় না। এ কারণে এই আবেদনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনও অনিশ্চিত।
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রশাসনের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। তবে ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দীর্ঘদিনের নীতি, এবং এই ধরনের অভিযোগ আগেও উত্থাপিত হয়েছে।
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করেছে, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নেতাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে। আইসিসির ভূমিকা এবং এর তদন্ত প্রক্রিয়া কতটুকু কার্যকর হবে, তা এখনও দেখার বিষয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, ডেমোক্রেসি ফর দ্য অ্যারাব ওয়ার্ল্ড নাও (DAWN)
আপনার কমেন্ট