হাওজা নিউজ এজেন্সি ইরনা’র বরাতে জানিয়েছে: আহমদ শাদিদ বলেছেন, “ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক যুদ্ধে কোনও সামরিক সাফল্য অর্জন করতে পারেননি এবং তার চরমপন্থী মন্ত্রিসভা একটি গভীর সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, নেতানিয়াহু জানেন যে চূড়ান্তভাবে যুদ্ধ বন্ধ করা তার মন্ত্রিসভার চিন্তাভাবনার পরিপন্থী এবং এই বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ তার মন্ত্রিসভার পতন ঘটাতে পারে। তাই নেতানিয়াহু একটি মধ্যম পথ খুঁজছেন। কেননা, একদিকে তিনি তার মন্ত্রিসভাকে পতনের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে চান অন্যদিকে তিনি ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনীর সাথে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ইসরায়েলি বন্দীদের পরিবারের পক্ষ থেকে সৃষ্ট চাপ মোকাবেলা করতে চান।
তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, নেতানিয়াহু নিজেকে দুটি আগুনের মাঝখানে দেখতে পাচ্ছেন; একদিকে ইসরায়েলি জনগণের ক্ষোভের আগুন এবং অন্যদিকে তার চরমপন্থী মন্ত্রিসভার কঠোর অবস্থান। তারা জানে না কিভাবে এই সংকট ও দুর্দশা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সাম্প্রতিক যুদ্ধে গাজা ফ্রন্টে নেতানিয়াহু কোনও কিছুই অর্জন করতে পারেননি। নেতানিয়াহু বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়ে হামাসকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তিনি এ ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছেন।
এ বিশেষজ্ঞ আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলি বন্দীদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটি ভালোভাবে পরিচালনা করেছে এবং হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় অসংখ্য বার্তা পাঠিয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, প্রতিরোধ বাহিনীর শক্তিশালী সামরিক উপস্থিতি দখলদারদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যার অর্থ প্রতিরোধ যোদ্ধারা অনুকূল অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি গাজায় যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার জন্য আমেরিকা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কারণ ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ আন্দোলনের হুমকির পর যুদ্ধ আবার শুরু হলে ইসরায়েল আক্রমণের মুখে পড়বে। এ কারণে দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী দ্বিধাগ্রস্ত এবং গভীর সংকটে আছেন এবং তিনি জানেন না কী করবেন।
আপনার কমেন্ট