বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫ - ০৯:০৭
ইরানের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ হলে পরাজিত পক্ষ হবে আমেরিকা

ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর সতর্কবার্তা:

ইরানের বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ হলে পরাজিত পক্ষ হবে আমেরিকা

যদি আমরা পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে চাইতাম, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের থামাতে পারত না।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: গতকাল বুধুবার পবিত্র রমজান মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে নেতা ইরানের শক্তি, আমেরিকার সাথে আলোচনার বিষয়ে তার অবস্থান এবং ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। 

সর্বেচ্চ নেতা বলেন, “ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান তার শত্রু, বিরোধী এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের ত্রুটিপূর্ণ, ভিত্তিহীন ও অগভীর দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে শহীদ রায়িসি, সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ, হানিয়া, সাফিউদ্দিন, সিনওয়ার ও দেইফের মতো ব্যক্তিত্বদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও গত বছরের একই দিনের তুলনায় কিছু বিষয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে যদি শক্তিশালী না-ও হয়, তবে দুর্বলও হয়নি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আজ বিশ্বের দুর্বৃত্তরা বলে যে সবাইকে তাদের আনুগত্য করতে হবে এবং নিজেদের স্বার্থের চেয়ে তাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানই একমাত্র দেশ, যা এটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।”

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলোচনার প্রস্তাবকে “বিশ্ব জনমতকে প্রতারণার প্রচেষ্টা” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনা ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে না; বরং আলোচনা চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে। আলোচনা কোনো সমস্যার সমাধান করবে না। ইরান কয়েক বছর ধরে একটি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছে, কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট চুক্তিটি ছিঁড়ে ফেলেছেন। যখন আমরা জানি যে তারা আলোচনা মেনে চলে না, তখন এমন আলোচনার কোনো প্রয়োজন নেই।”

ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পর্কে নেতা বলেন, “যদি আমরা পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে চাইতাম, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের থামাতে পারত না। ইরান আক্রমণকারীকে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং অবশ্যই তার প্রতিশোধ নেবে।”

তিনি স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “ইরান যুদ্ধ চায় না, কিন্তু যদি আমেরিকানরা এবং তাদের সহযোগীরা কোনো অভিশপ্ত কাজ করে, তাহলে ইরানের প্রতিশোধ সুনিশ্চিত এবং নির্ধারিত। আর এই যুদ্ধে পরাজিত পক্ষ হবে আমেরিকা।” 

বৈঠকে শিক্ষার্থীরা ইসলামী বিপ্লবের নেতার সাথে একটি উন্মুক্ত ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে তাদের মতামত, উদ্বেগ ও প্রশ্ন শেয়ার করেন। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিতে তাদের মতামত ও প্রস্তাবনা উপস্থাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। 

এই বৈঠকে নেতার বক্তব্য ইরানের প্রতিরক্ষা নীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কে তার দৃঢ় অবস্থানকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha