শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫ - ১৫:০২
যারা রোজার কাফফারা দিতে অক্ষম- তাদের করণীয় কী?

শরীয়তের হুকুম-আহকাম বিশেষজ্ঞ হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ তাকি মোহাম্মদী শেখ, “রমজান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভঙ্গ করার কারণে কাফফারা দিতে অক্ষম ব্যক্তিদের করণীয়” সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট: পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন “রমজান গাইড লাইন’' নিয়ে আপনাদের পাশে থাকবো। এই সিরিজে রমজান মাস সংশ্লিষ্ট শরীয়তের বিধান, সে সম্পৃক্ত বিষয়ে বিশিষ্ট মুজতাহিদদের মতামত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব। 

হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ তাকি মোহাম্মদী শেখ

যারা সম্পূর্ণ কাফফারা দিতে অক্ষম তাদের করণীয়:

যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রমজান মাসের রোজা ভঙ্গ করেছেন এবং কাফফারা দেওয়ার বিধানের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, কিন্তু সম্পূর্ণ কাফফারা দেওয়ার আর্থিক সামর্থ্য তাদের নেই, তাদের জন্য শরীয়তে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান রয়েছে। 

অধিকাংশ বিশিষ্ট মুজতাহিদের মতে, যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ কাফফারা (৬০ জন গরীবকে খাওয়ানো) দিতে অক্ষম এবং কাফফারার রোজা রাখারও সামর্থ্য নেই, সে তার আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী কাফফারার একটি অংশ আদায় করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি সে ১০ বা ২০ জনকে খাওয়ানোর সামর্থ্য রাখে, তাহলে সে তাই করবে। 

তবে এই ব্যক্তির ভবিষ্যত অবস্থা নিয়ে মুজতাহিদদের মধ্যে দুটি মত রয়েছে: 

১. অধিকাংশ বিশিষ্ট মুজতাহিদের মত:

   এই মহান ব্যক্তিগণ মনে করেন যে, ব্যক্তির আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে অবশিষ্ট কাফফারা আদায় করতে হবে এবং তার অবশিষ্ট দায় সম্পূর্ণরূপে পালন করতে হবে। 

২. আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এবং আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজীর মত:

   এই দুই মহান মুজতাহিদ ফতোয়া দিয়েছেন যে, যদি ব্যক্তি কাফফারা ওয়াজিব হওয়ার সময় তওবা করে এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী কাফফারার একটি অংশ আদায় করে, এবং সেই সময় সম্পূর্ণ কাফফারা দেওয়ার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে পরবর্তীতে তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলেও অবশিষ্ট কাফফারা আদায় করা তার জন্য আবশ্যক নয়। প্রথমবার যে পরিমাণ আদায় করেছে, তা তার তাকলিফ আদায়ের জন্য যথেষ্ট।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha