হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইয়েমেনি বাহিনীর পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে লাল সাগরে শত্রু জাহাজের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, এই সংঘর্ষ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলেছে এবং ইয়েমেনি বাহিনী অপারেশন এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
একই সময়ে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী তেল আবিবের নিকটবর্তী ইসরায়েলি দখলকৃত শহর ইয়াফায় কয়েকটি সশস্ত্র ড্রোন হামলা চালায়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা সফলভাবে লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং গাজায় নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ইয়েমেনি বাহিনী পুনর্ব্যক্ত করেছে যে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তাদের অভিযানের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন মোকাবিলা করতে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি ইসরায়েল ও ইসরায়েলি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে তারা প্রধান সামুদ্রিক পথে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখবে বলেও সতর্ক করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ ও অবরোধের প্রতিবাদে ইয়েমেন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে। হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর তারা সাময়িকভাবে হামলা স্থগিত রাখলেও সম্প্রতি চুক্তি লঙ্ঘন ও গাজায় যুদ্ধ পুনরায় শুরু করার প্রতিবাদে তারা আবারও হামলা শুরু করেছে।
বুধবারের বিবৃতিতে ইয়েমেন আরব ও ইসলামী বিশ্বের সব স্বাধীনচেতা মানুষকে গাজায় তাদের ভাইদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার ইয়েমেনি বাহিনী দাবি করে যে তারা ইয়াফায় ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে জুলফিকার ও হাইপারসনিক প্যালেস্টাইন-২ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। একই দিন লাল সাগরে ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান ও সহযাত্রী যুদ্ধজাহাজগুলোর বিরুদ্ধেও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়, যা গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দ্বিতীয় বার আক্রমণ।
আপনার কমেন্ট