হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র জন্নাতুল বাকিতে পবিত্র ইমামগণের (আ.) সমাধি ধ্বংসের বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যার বিবরণ নিম্নরূপ:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
জান্নাতুল বাকিতে চার পবিত্র ইমামের (আ.) সমাধি ধ্বংসের বেদনাদায়ক বার্ষিকীতে আবারও বিশ্বের মুমিন ও স্বাধীনচেতা মানুষ, বিশেষত আহলে বাইতের (আ.) অনুসারীদের হৃদয় শোকাতুর হয়েছে। ৮ শাওয়াল ১৩৪৪ হিজরিতে সংঘটিত এই মর্মান্তিক ঘটনা কেবল আহলে বাইত (আ.) ও ইসলামী ইতিহাসের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং এটি এক জঙ্গিবাদী, চরমপন্থী ও ইসলামবিরোধী চিন্তাধারার প্রতীক, যা আজও সহিংসতা, বিভক্তি ও ইসলামের উজ্জ্বল চেহারা বিকৃত করার কারণ হয়ে রয়েছে।
ইরানের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র এই ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডির তীব্র নিন্দা জানিয়ে আহলে বাইত (আ.)-এর মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং জোর দিয়ে বলে, এই পবিত্র মাজারগুলির পুনর্নির্মাণ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর এক ঐক্যবদ্ধ দাবি। এটি কেবল মুমিনদেরই নয়, বরং মারাজে আজম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিরও কণ্ঠস্বর, যা বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে আমরা ইয়েমেন, গাজা, লেবানন, বাহরাইন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও অন্যান্য ইসলামী অঞ্চলের নির্যাতিত মুসলমানদের দুর্দশার দিকেও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যারা বর্বরতার শিকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অপরাধমূলক নীরবতার সম্মুখীন। এসব নির্যাতন সেই বাতিল ও অপরাধমূলক চিন্তাধারারই ধারাবাহিকতা, যা অতীতে জন্নাতুল বাকি ধ্বংস করেছিল এবং আজ নিরীহ শিশু, নারী ও নিরপরাধ নাগরিকদের রক্ত ঝরাচ্ছে।
জায়োনিস্ট শাসনের সাম্প্রতিক অপরাধ, বিশেষত গাজায় বর্বর গণহত্যা, বিশ্বের প্রভাবশালী শক্তিগুলোর সমর্থন ও কিছু দালাল শাসকের বিশ্বাসঘাতকতার ছত্রছায়ায় সংঘটিত হচ্ছে। এর মোকাবিলায় মুসলিম উম্মাহর জাগরণ, ঐক্য ও তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
ইরানের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র কুরআন ও আহলে বাইত (আ.)-এর শিক্ষার আলোকে মুসলিম বিশ্বের আলেম ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আবেদন জানায়, তারা যেন এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে নীরব না থাকেন এবং উম্মতকে নির্যাতিতদের সমর্থন, প্রতিরোধ ও পবিত্র স্থানগুলির পুনর্নির্মাণে ঐক্যবদ্ধ করেন।
আর যারা জুলুম করেছে, তারা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন পথে তাদের ফিরে যেতে হবে!
ইরানের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র
আপনার কমেন্ট