বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ - ১৫:৩৪
একজন পিতৃতুল্য নেতার দৈনন্দিন জীবন 

একজন পিতৃতুল্য নেতার দৈনন্দিন জীবন 

হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমীন মাহদী মাহদভি পুরের জীবনচরিত ও অবদান

মানব ইতিহাসে কিছু ব্যক্তিত্ব এমনভাবে আবির্ভূত হয়, যারা নীরবতায় ভাষণ, সরলতায় মহত্ব এবং সেবায় নেতৃত্বের এমন ছাপ রেখে যান যা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি | লিখেছেন: জওয়াদ হাবীব (ভারতীয় উপমহাদেশে প্রতিনিধি নেতার দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত)
মূল প্রবন্ধের লিংক: হাওযাহ নিউজ - ایک پدرانہ قائد کی روزمرہ زندگی

“আর আমরা তাদেরকে নেতা বানিয়েছি, যারা আমাদের নির্দেশে পথ দেখাতো, কেননা তারা ধৈর্য ধারণ করেছিলো এবং আমাদের নিদর্শনগুলোর প্রতি বিশ্বাস রেখেছিলো।”
— (সূরা সিজদা: ২৪)

মানব ইতিহাসে কিছু ব্যক্তিত্ব এমনভাবে আবির্ভূত হয়, যারা নীরবতায় ভাষণ, সরলতায় মহত্ব এবং সেবায় নেতৃত্বের এমন ছাপ রেখে যান যা শুধু বইয়ের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নেয়।
হুজ্জাতুল ইসলাম ও মুসলিমীন হাজী আকা মাহদী মাহদভি পুর (দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি - ভারত) এমনই একজন ব্যক্তি। তিনি কেবল একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নন; তিনি একজন শিক্ষক, একজন সংস্কারক, একজন পথপ্রদর্শক এবং একজন আত্মিক পিতা।

গত পনেরো বছরজুড়ে তার সেবার পথচলা শুধুমাত্র নিয়োগ, সাক্ষাৎ বা প্রতিনিধিত্বে সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং তিনি ভারতের মতো এক মহান, বৈচিত্র্যময় এবং বৌদ্ধিকভাবে সমৃদ্ধ দেশে ইসলামী মূল্যবোধ, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্য, যুবসমাজের নৈতিক শিক্ষা এবং জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।

দপ্তর নয়, যেন এক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র!

আকা মাহদভি পুরের দপ্তরটি আদতে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে আগত প্রত্যেক ব্যক্তি—সে কর্মচারী হোক বা অতিথি, শিক্ষার্থী হোক বা আলেম—কিছু না কিছু শেখা ছাড়া ফেরে না।
এই দপ্তরের পরিবেশ মাধুর্য, শৃঙ্খলা, মনোযোগ, আদব ও আধ্যাত্মিকতায় পরিপূর্ণ। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারসাম্য ও বরকতের উপস্থিতি অনুভব করা যায়।
তার কাছে কোনো কাজই ‘সাধারণ’ নয়। প্রতিটি মুহূর্ত একটি সুযোগ, প্রতিটি কাজ একটি ইবাদত। দপ্তরের ভেতরের শৃঙ্খলা, ফাইলের বিন্যাস, সাক্ষাতের তালিকা—সবকিছুই আধ্যাত্মিক ও শিক্ষামূলক রুচির সাথে চলে। বাইরে যা কেবল ‘দাপ্তরিক’ বলে মনে হয়, এখানে তা হয়ে ওঠে ‘নৈতিক দায়িত্ব’ ও ‘আধ্যাত্মিক কর্তব্য’।

পিতৃতুল্য ছায়া:

তার আচরণে সেই কোমলতা রয়েছে, যা একজন স্নেহময় পিতা তার সন্তানদের জন্য রাখেন। কর্মীদের অসুস্থতায় দোয়া করা, তাদের পরিবারের সমস্যায় ব্যক্তিগত আগ্রহ নেওয়া, দুঃখিত অন্তরকে সান্ত্বনা দেওয়া এবং নিঃশব্দে অসহায়দের সহায়তা করা—এসবই তার দৈনন্দিন রুটিনের অংশ।
নিজ চোখে দেখেছি, তরুণ কোনো কর্মীর শিক্ষাগত সমস্যা বা কোনো নারী কর্মীর পারিবারিক সমস্যায় তিনি এমনভাবে পরামর্শ দিয়েছেন, যেন একজন পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য দিচ্ছেন।
তার দৃষ্টিতে প্রত্যেক ব্যক্তি কেবল ‘কাজের হাত’ নয়, বরং ‘একটি হৃদয়সম্পন্ন মানুষ’। আর এটাই তার নেতৃত্বকে প্রাণবন্ত করে তোলা।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha