হাওজা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মরহুম আয়াতুল্লাহ শেইখ মুজতবা কাজভিনির চরিত্র সম্পর্কে নেতার (রহবারের) বর্ণনা আপনাদের জ্ঞানপিপাসুদের জন্য তুলে ধরা হলো।
"হাজী শেইখ মুজতবা" একজন প্রকৃত আলেম ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কেবল একজন আলেমই ছিলেন না, বরং তার ব্যক্তিত্বের দৃঢ়তার দিক থেকেও, আমি (নেতা) ইমাম ছাড়া অন্য কোনো মাওলানা বা আলেমের মধ্যে এমন দৃঢ় ব্যক্তিত্ব দেখিনি, যাদের সাথে আমার পরিচয় ছিল! তিনি এক অভাবনীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
কুম থেকে ফেরার দুই-তিন বছর পরে আমাদের সৌভাগ্য হয়েছিল তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার, যা চলেছিল ১৩৪৬ সাল (ইরানি সাল অনুযায়ী, ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দ) পর্যন্ত, যখন তিনি ইন্তেকাল করেন। আমি গভীরভাবে তার উপস্থিতি অনুভব করেছিলাম। হাজী শেইখ মুজতবা ছিলেন এক সত্যিকার অসাধারণ ব্যক্তি; অত্যন্ত অসাধারণ।
তার সেই ব্যক্তিত্বই ছিল, যা সবার মনকে বিমুগ্ধ করত। মাশহাদে যারাই তার সাথে পরিচিত ছিলেন, সবাই তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। আমি নিজে দেখেছি, মাশহাদের বহু বিখ্যাত আলেম ও বিশিষ্টজনদের সাথে তার যৌথ বৈঠক। যখন তিনি কোনো কথা বলতেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই তার প্রতি আকৃষ্ট ও মুগ্ধ হয়ে যেতেন; তিনি এমনই ছিলেন।
আমিরজা জাওয়াদ আকা এবং অন্যান্যরা তার সামনে একেবারে ছাত্রের মতো আচরণ করতেন; মুরিদ ও ছাত্রের মতোই তাদের ব্যবহার ছিল।
হাজী শেইখ মুজতবা ছিলেন এক বিস্ময়কর ব্যক্তি। তিনি সব বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। তিনি দর্শন (ফিলোসফি) পড়েছিলেন। এমন নয় যে কেবল আগা মিরজা মাহদি ইসফাহানির কাছে কিছু শিখেছিলেন, বরং — তিনি ছিলেন এক সত্যিকার বিস্ময়।
তিনি অদৃশ্য বিদ্যা (ইলমে গায়েব) ইত্যাদির জ্ঞানেও পারদর্শী ছিলেন। তিনি সব বিষয় জানতেন। এমন মানুষ, যাদের সম্পর্কে শুধু গল্পে শুনতাম, তিনি ছিলেন তাদের জীবন্ত উদাহরণ।
যেমন বলা হয়: "আমি মিশরে গিয়েছিলাম এবং পুরাতন নিদর্শন দেখেছিলাম,
যা কেবল গল্পে শুনেছিলাম, তা বাস্তবে দেখেছিলাম।"
ঠিক তেমনি, যা আমরা গল্পে শুনতাম, তা বাস্তবে আমরা হাজী শেইখ মুজতবার মধ্যে দেখেছি।
উৎস: নেতা’র ভাষণ, ১৩৭৭/১০/৮ (ইরানি সাল অনুযায়ী)
আপনার কমেন্ট