হাওজা নিউজ এজেন্সি: আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমুলী ফিকহের দারসে হযরত ফাতেমা মাসুমা (সা.)-এর শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, “আহলে বাইত (আ.)-এর সাথে সম্পর্ক মুমিনদের জন্য প্রকৃত সান্ত্বনা। এটি ইন্তেকালকারীদের জন্য জান্নাতের মাধ্যম এবং জীবিতদের জন্য সবরের শক্তি।”
তিনি এই দিবসের রূহানী তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বলেন, “এটি কেবল পার্থিব আনন্দ নয়, বরং বেলায়েতী আনন্দ। এতে ইন্তেকালকারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি পায়, জীবিতরা সান্ত্বনা লাভ করে এবং আহলে বাইত (আ.)-এর বিশেষ হিদায়াত প্রাপ্ত হয়।”
ইসলামে নারীর মর্যাদা সম্পর্কে তিনি বলেন, “ইসলামে নারী কেবল সাধারণ মানুষ নন। হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর মর্যাদা এত উচ্চ যে, তিন ইমাম (আ.) তাঁকে বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করেছেন। ইমাম (আ.) তাঁর জন্য বিশেষ জিয়ারতনামা শিক্ষা দিয়েছেন - যাতে তাঁকে 'ইমামের কন্যা', 'ইমামের ভগ্নী' ও 'ইমামের ফুফু' হিসেবে সম্বোধন করা হয়েছে।”
হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর রওজা শরীফের বরকত সম্পর্কে তিনি বলেন, “কোমের এই পবিত্র স্থান থেকে ফিকাহসহ বহু ইসলামী ইলমের চর্চা শুরু হয়েছে।” তিনি তাঁর উস্তাদ আয়াতুল্লাহ মুহাম্মাদ তাকী আমুলীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, “তিনি তাঁর লেখার শুরুতে সর্বদা 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম, ইয়া সাহিবায যামান আদরিকনী' লিখতেন। এটি প্রমাণ করে যে, আমাদের উলামায়ে কেরাম তাদের ইলম ও বরকত এই পবিত্র আহলে বাইত (আ.) থেকেই লাভ করেছেন।”
তিনি হযরত মাসুমা (সা.)-এর রওজা শরীফের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “বুজুর্গনে দ্বীন সর্বদা বলে আসছেন, কোমে এসে সর্বপ্রথম হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর কাছে তাওয়াসসুল করতে। তাঁর মাকাম এত উচ্চ যে, তিন ইমাম (আ.) তাঁকে সালাম করেছেন।”
শেষে তিনি দোয়া করেন, “আমরা আশা করি, হযরত মাসুমা (সা.আ.)-এর বরকতে ইসলামী সমাজ, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান ও হাওজায়ে ইলমিয়া আহলে বাইত (আ.)-এর বিশেষ মদদ পেতে থাকবে।”
আপনার কমেন্ট