হাওজা নিউজ এজেন্সি: জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই দেশগুলো ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে “মানবিক সাহায্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার” এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে।
প্রধান বিবেচ্য বিষয়:
১. মানবিক সংকট: জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজায় ৭ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে কোনো ত্রাণ সরবরাহ করা হয়নি, যার ফলে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাসকে দুর্বল করতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রাখা হয়েছ ।
২. ইউরোপীয় দেশগুলোর অবস্থান:
স্পেন: জাতিসংঘে স্পেনের প্রতিনিধি হেক্টর গোমেজ হার্নান্দেজ ইসরাইলের হামলাকে “আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন” বলে উল্লেখ করেছেন এবং মানবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বেলজিয়াম: বেলজিয়ামের প্রতিনিধি সোফি ডি স্মেট জোর দিয়েছেন যে “মানবিক সাহায্য কখনোই যুদ্ধের হাতিয়ার হওয়া উচিত নয়” এবং অবিলম্বে অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আয়ারল্যান্ড: আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধি ফার্গাল মিটেন ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে “নিরাপত্তা পরিষদ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি অবজ্ঞা” বলে অভিহিত করেছেন এবং গাজায় ক্ষুধা সংকট বৃদ্ধির জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন।
৩. আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া: গত মার্চে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করলেও ইসরাইল তা উপেক্ষা করে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত থাকলেও ইসরাইলের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
ইসরাইলের মানবিক অবরোধের ফলে গাজায় ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে, যা নিয়ে ইউরোপের তিন দেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে ইসরাইল এখনও কোনো নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেনি, বরং হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো, পার্সটুডে
আপনার কমেন্ট