শনিবার ৩ মে ২০২৫ - ১৫:২৬
শহীদ মুতাহহারীর চিন্তাধারার আলোকে শিক্ষকতার মহান দায়িত্বের পুনরালোচনা

ইরানের হরমুজগন প্রদেশের মহিলা হাওজায়ে ইলমিয়ার পরিচালক ইসলামি বিপ্লবের মানদণ্ডে শিক্ষকতার পরিচয় পুনর্জাগরণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি’র হরমুজগন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জনাবা আব্বাসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শিক্ষক দিবস হল সেই মহতী উপলক্ষ, যখন আমাদের নবীগণের প্রবর্তিত ও ধার্মিক, আদর্শবান শিক্ষকদের অব্যাহত রেখে চলা দায়িত্বের ওপর পুনর্বিচার করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে শহীদ মুতাহহারীর উদাহরণ টেনে বলেন,

শহীদ মুতাহহহারী কেবল একজন পণ্ডিত ও দায়িত্বশীল দার্শনিকই ছিলেন না, বরং এমন একজন আত্মিক গঠনকারী শিক্ষকও ছিলেন, যিনি কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি—তিনি মন ও আত্মার পরিশুদ্ধি ও বিকাশে নিবেদিত ছিলেন। তিনি ছিলেন এক যুগদ্রষ্টা, প্রজ্ঞাবান ও সমাজসংস্কারক শিক্ষক, যিনি আজকের প্রতিটি শিক্ষকের জন্য এক অনন্য অনুকরণীয় আদর্শ।

তিনি আরও বলেন, শহীদ মুতাহহারীর চিন্তাধারার গভীরতা ও ব্যাপকতা প্রমাণ করে যে, তিনি যুক্তি ও ধর্মীয় সূত্রের সমন্বয়ে এমন এক শিক্ষা-ধারা উপস্থাপন করেন, যেখানে হিকমত ও দায়িত্বশীলতা একীভূত হয়। তিনি হাওজাকে রূপান্তর করেছিলেন এমন একটি শিক্ষাকেন্দ্রে, যেখানে চিন্তাশীল, ধার্মিক ও বিপ্লবী মানুষ গড়ে ওঠে। তাঁর চিন্তা ও রচনাসমূহের পুনরালোচনা আজও অপরিহার্য, যাতে খাঁটি ইসলামী জ্ঞানের সীমারেখা সুরক্ষিত থাকে এবং বিভ্রান্তিকর ও বিভ্রান্তিমূলক ধারার মোকাবিলা করা যায়।

তিনি বলেন, মহিলা হাওজা সমূহকে তাদের বিদ্বান ও ধার্মিক নারীদের জ্ঞান ও আত্মিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমন মহান শিক্ষকদের উত্তরাধিকার বহন করতে হবে এবং একটি সচেতন, ঈমানদার, সংগ্রামী ও প্রজ্ঞাবান প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সভ্যতা-গঠনমূলক ও দৃষ্টিভঙ্গি-নির্মাণকারী পথে অগ্রসর হতে হবে।

Tags

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha