হাওজা নিউজ এজেন্সি’র হরমুজগন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জনাবা আব্বাসি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শিক্ষক দিবস হল সেই মহতী উপলক্ষ, যখন আমাদের নবীগণের প্রবর্তিত ও ধার্মিক, আদর্শবান শিক্ষকদের অব্যাহত রেখে চলা দায়িত্বের ওপর পুনর্বিচার করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে শহীদ মুতাহহারীর উদাহরণ টেনে বলেন,
শহীদ মুতাহহহারী কেবল একজন পণ্ডিত ও দায়িত্বশীল দার্শনিকই ছিলেন না, বরং এমন একজন আত্মিক গঠনকারী শিক্ষকও ছিলেন, যিনি কেবল পাঠদানেই সীমাবদ্ধ থাকেননি—তিনি মন ও আত্মার পরিশুদ্ধি ও বিকাশে নিবেদিত ছিলেন। তিনি ছিলেন এক যুগদ্রষ্টা, প্রজ্ঞাবান ও সমাজসংস্কারক শিক্ষক, যিনি আজকের প্রতিটি শিক্ষকের জন্য এক অনন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
তিনি আরও বলেন, শহীদ মুতাহহারীর চিন্তাধারার গভীরতা ও ব্যাপকতা প্রমাণ করে যে, তিনি যুক্তি ও ধর্মীয় সূত্রের সমন্বয়ে এমন এক শিক্ষা-ধারা উপস্থাপন করেন, যেখানে হিকমত ও দায়িত্বশীলতা একীভূত হয়। তিনি হাওজাকে রূপান্তর করেছিলেন এমন একটি শিক্ষাকেন্দ্রে, যেখানে চিন্তাশীল, ধার্মিক ও বিপ্লবী মানুষ গড়ে ওঠে। তাঁর চিন্তা ও রচনাসমূহের পুনরালোচনা আজও অপরিহার্য, যাতে খাঁটি ইসলামী জ্ঞানের সীমারেখা সুরক্ষিত থাকে এবং বিভ্রান্তিকর ও বিভ্রান্তিমূলক ধারার মোকাবিলা করা যায়।
তিনি বলেন, মহিলা হাওজা সমূহকে তাদের বিদ্বান ও ধার্মিক নারীদের জ্ঞান ও আত্মিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমন মহান শিক্ষকদের উত্তরাধিকার বহন করতে হবে এবং একটি সচেতন, ঈমানদার, সংগ্রামী ও প্রজ্ঞাবান প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সভ্যতা-গঠনমূলক ও দৃষ্টিভঙ্গি-নির্মাণকারী পথে অগ্রসর হতে হবে।
আপনার কমেন্ট