হাওজা নিউজ এজেন্সি: এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ট্রাম্পের কথাবার্তা অজ্ঞতাপূর্ণ, কুৎসিত এবং শয়তানসুলভ। এসব মন্তব্যের উদ্দেশ্য হলো আমেরিকার অভ্যন্তরীণ গভীর সংকট আড়াল করা। তারা এটাও বলেন যে, “ইরান বহু আগেই আমেরিকার মুখোশ উন্মোচন করেছে এবং আর কখনও তাদের প্রতারণায় ফাঁসবে না।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক চাপে ইরানকে দমন করতে চাইলেও ইরানি জনগণের ইচ্ছাশক্তি ইস্পাতসম। তারা কখনও হতাশ হবে না।”
হাওজা শিক্ষকমণ্ডলী বলেন, “আমেরিকার অঞ্চলভিত্তিক ও বৈশ্বিক ব্যর্থতা ইরানের স্বাধীনচেতা অবস্থান থেকেই উদ্ভূত। ইসলামি ইরান ভবিষ্যতেও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে থাকবে।”
তারা আরও অভিযোগ করেন, পশ্চিম এশিয়ার সহিংসতা, গাজায় শিশু হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। পাশাপাশি কিছু আঞ্চলিক সরকার নিজেদের জনগণের ঘাড়ে বিশাল অর্থনৈতিক বোঝা চাপিয়ে আমেরিকাকে ‘দুধদাতা গরু’ হিসেবে সুবিধা দিচ্ছে। তবে এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, “ইরান কখনও ট্রাম্পের প্রপাগান্ডার সামনে মাথা নত করবে না। ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশ্বস্ত মিত্র হিসেবেই থাকবে। ট্রাম্পও ইতিহাসে নিজের ব্যর্থতা ও লজ্জাজনক পরিণতির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।”
হাওজায়ে ইলমিয়ার শিক্ষক সমিতি, কোম
আপনার কমেন্ট