সোমবার ১৯ মে ২০২৫ - ১৫:২৩
ইসলামি বিপ্লব পূর্ব ও পশ্চিমের ক্ষমতার সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে

ইসলামী বিপ্লব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও রাহবারের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্য আয়াতুল্লাহ আব্বাস কা’বি বলেছেন: “ইরানের ইসলামি বিপ্লব পূর্ব ও পশ্চিম বিশ্বের শক্তির সমীকরণ পাল্টে দিয়ে একটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ইমাম খোমেনির (রহ.) নেতৃত্বে এই বিপ্লব, সভ্যতাভিত্তিক ইজতিহাদের ওপর ভিত্তি করে, শুধু আমেরিকার আধিপত্যকেই চ্যালেঞ্জ করেনি বরং হাওযা ইলমিয়াকে ইসলামি সভ্যতা গঠনের একটি গভীর ও প্রাণবন্ত চালিকাশক্তি হিসেবে সক্রিয় করে তুলেছে।”

হাওযা নিউজের সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, আয়াতুল্লাহ কা’বি বলেন: “ইমাম খোমেনি (রহ.) ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামি শাসন কায়েম ও ‘হায়াতে তয়্যেবা’ (পবিত্র জীবন ব্যবস্থা) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কাঠামো উপস্থাপন করেন। বিপ্লবের ৪৬ বছর পর আজ এটি পূর্ব ও পশ্চিম বিশ্বের ক্ষমতার ভারসাম্য আমূল বদলে দিয়েছে এবং নিজেকে এক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমেরিকার হেজেমনি (প্রভাব ও কর্তৃত্ব) এই বিপ্লব সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছে।”

তিনি আরও বলেন: “ইসলামি বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখা ও এর সভ্যতাগত গতিধারাকে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে একে জাওহারি ইজতিহাদের ভিত্তিতে, সময়ের চাহিদানুযায়ী, গভীরতর দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে—এখানে হাওযা ইলমিয়াগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। হাওযা ইসলামি বিপ্লবের সভ্যতাগত গভীরতা ব্যাখ্যা ও প্রসারে সবচেয়ে কার্যকর শক্তি।”

আয়াতুল্লাহ কা’বি হাওযা ইলমিয়ার বিভিন্ন সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন: “একজন হাওযাভুক্ত ব্যক্তি কেবল ধর্মতাত্ত্বিক ও ফিকহি পণ্ডিত নন, বরং তিনি তার বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরমাণু বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তির মতো জটিল ক্ষেত্রেও একজন বিজ্ঞানী হতে পারেন। ইসলামী বর্ণনামতে, জ্ঞান ও আলেমদের মর্যাদা এতটাই উচ্চ যে বলা হয়েছে: ‘আলেমদের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মহৎ।’”

তিনি আরও বলেন: “ইসলামি বিপ্লবের জ্ঞানতাত্ত্বিক ও চিন্তাধারাগত ভিত্তি এটাই যে, একটি নতুন ইসলামি সভ্যতার নির্মাণ শুধুমাত্র জ্ঞান, প্রগতিশীল ইজতিহাদ এবং সময়ের প্রয়োজন পূরণের মাধ্যমেই সম্ভব। হাওযা ইলমিয়াকে অবশ্যই ইসলামি সভ্যতার পুনঃপাঠ, ধর্মীয় জ্ঞানের উৎপাদন এবং সর্বস্তরে সমাজের বিকাশের পথপ্রদর্শক হতে হবে।”

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha