হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের ক্লাসের প্রেসিডেন্ট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ছাত্রী মেঘা উইমোরি তার বক্তৃতায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থন এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কণ্ঠ তুলেন।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রী "মেঘা উইমোরি" তার গ্র্যাজুয়েশন বক্তৃতায় গাজার জাতিগত নির্মূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন: "MIT একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন চায়"। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (MIT)-এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালের ক্লাসের প্রেসিডেন্ট, ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান ছাত্রী মেঘা উইমোরি তার বক্তৃতায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থন এবং ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কণ্ঠ তুলেন। মেঘা ফিলিস্তিনের সমর্থনে একটি লাল কফিয়া (keffiyeh) পরেছিলেন, যা ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তিনি সমাবেশে বলেন: "আপনারা পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন যে MIT একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন চায়।"

এই বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন আমেরিকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা যুদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ইসরায়েলি সন্ত্রাসবাদী সম্পর্কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। মেঘা তার বক্তৃতায় বলেন, এই পরিস্থিতি ছাত্র ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য অনিশ্চিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তিনি MIT-এর ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে গবেষণা সহযোগিতার তীব্র সমালোচনা করেন, এবং এটি প্রতিষ্ঠানটির নৈতিক সুনামকে হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন। মেঘা উইমোরি বলেন: “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী একমাত্র পৃথিবীর বাহিনী, যার সাথে MIT-এর গবেষণা সংযোগ রয়েছে; এর মানে হলো, ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি আক্রমণ শুধু আমেরিকা নয়, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও সহায়তা করছে।"

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চাপ সত্ত্বেও, তিনি তাদের সমর্থন করেছেন যারা ফিলিস্তিনের পক্ষে আওয়াজ তুলেছেন। “গত বসন্তে, MIT-এর আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্ররা এবং গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পক্ষে বড় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পোষণ করেছে। আপনারা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি দাবি করেছেন, এবং ক্যাম্পাসে প্রো-ফিলিস্তিন কর্মীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।" তিনি আরো বলেন: "আমরা দেখছি যে, ইসরায়েল কিভাবে ফিলিস্তিনকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে, এবং এটি MIT-এর জন্য লজ্জার বিষয় যে তারা এতে অংশগ্রহণ করছে।"

মেঘা MIT-এর ছাত্রদের অবস্থার তুলনা করেন গাজার ছাত্রদের সাথে: “যখন আমরা গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, গাজায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ই আর বেঁচে নেই।” শেষমেশ তিনি ছাত্রদের স্মরণ করিয়ে দেন যে তাদের ক্লাসের রং পরিবর্তন করে বিশ্বের দিকে এগিয়ে যাওয়ার রীতি রয়েছে, এবং বলেন: “এটি আমাদের দায়িত্ব যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, যেন এটা সব থেমে যায়।”

মেঘা উইমোরি কীভাবে পরিচিত? মেঘা উইমোরি, যারা আলফারেটা, জর্জিয়ায় জন্মগ্রহণ এবং বেড়ে উঠেছেন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং MIT-এর ছাত্রদের মধ্যে একটি পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি সম্প্রতি কম্পিউটার সায়েন্স, নিউরোসায়েন্স এবং লিঙ্গুইস্টিকসে তার আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এবং গ্র্যাজুয়েটিং ক্লাসের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি, মেঘা উইমোরি ক্যাম্পাসে ছাত্রদের অধিকার রক্ষা এবং গবেষণায়ও সক্রিয় ছিলেন। তিনি "রিটেন রেভোলিউশন" (Written Revolution) নামে একটি প্রচারণার নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ম্যাকগোর্ন ইনস্টিটিউট ফর ব্রেইন রিসার্চে গবেষণা করেছেন।