রবিবার ১ জুন ২০২৫ - ১০:৪৮
কম বলো, সম্মানিত থাকো!

মানুষের ব্যক্তিত্ব, মর্যাদা ও জ্ঞানের পরিচয় অনেক সময় তার কথায় নয়, বরং তার নীরবতায় প্রকাশ পায়। অহেতুক কথা না বলা, যথাস্থানে নীরব থাকা – এটি জ্ঞানের একটি চিহ্ন ও চরিত্রের সৌন্দর্য।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আমিরুল মুমিনিন ইমাম আলী (আ.) এক হাদীসে সময়োপযোগী নীরবতার মূল্য সম্পর্কে বলেছেন,
الصَّمْتُ یُکسِْیکَ ثَوْبَ الْوَقَارِ ویَکْفِیکَ مَؤُونَةَ الإعْتِذارِ
নীরবতা (যথাযথ উপযুক্ত সময়ে) তোমার শরীরে মর্যাদার পোশাক পরিয়ে দেয় এবং তোমাকে অপ্রয়োজনীয় ক্ষমা চাওয়ার ঝামেলা থেকে রেহাই দেয়।

[উয়ুনুল হিকাম ওয়াল মাওয়ে’যা, পৃষ্ঠা- ২১]

শিক্ষণীয় বার্তা: এই হাদীস থেকে আমরা শিখি যে, প্রয়োজনহীন ও বেশি কথা অনেক সময় অশোভন হয়, বিপদ ডেকে আনে।

যথাযথ সময়ে চুপ থাকা শুধু ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, বরং অনেক সময় অনর্থক ভুল বা অন্যকে কষ্ট দেওয়ার হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে। কম কথা বলা আমাদের মনের স্থিরতা বজায় রাখে এবং অন্যদের সম্মান রক্ষা করতে সাহায্য করে। আর চিন্তাশীল নীরবতা মানুষকে গাম্ভীর্য ও সম্মানের প্রতীক করে তোলে।

নীরবতা অনেক সময় জ্ঞানীর গুণ হিসেবে গণ্য হয়, যা আমাদেরকে অহেতুক ব্যাখ্যা বা ক্ষমা চাওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখে। তাই, কথা বলার আগে ভাবা এবং প্রাসঙ্গিক না হলে নীরব থাকা—এটাই একজন পরিপূর্ণ মানুষের অন্যতম গুণ।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha