হাওজা নিউজ এজেন্সি প্রেস টিভির বরাতে জানিয়েছে, নাম প্রকাশ না করা এক সূত্রের বরাত দিয়ে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। আনসারুল্লাহ নেতা উল্লেখ করেন, ইসরাইলের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মী ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিচ্ছে।
সূত্রটি মার্কিন সাপ্তাহিক নিউজউইক-কে জানায়, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন ও অবরোধ, এবং পরবর্তীতে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে তাদের হামলার কারণে আমরা ইতিমধ্যেই এই শত্রু শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অবস্থায় আছি। ইয়েমেনি বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে এবং ইসরাইলবিরোধী অভিযান তীব্রতর করার কাজ করছে।
তিনি আরও যোগ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কোনো বিস্তৃত হামলার জন্যও আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুত। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো উত্তেজনা বিপজ্জনক এবং তা পুরো অঞ্চলকে যুদ্ধের অতল গহ্বরে টেনে নেবে।
আনসারুল্লাহ সূত্র জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদী শাসনের সেবায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই এই অঞ্চলের দেশগুলোতে হামলা চালানোর। ইসরাইলি সত্তার সেবায় নতুন কোনো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া মার্কিন জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে না।
সম্পর্কিত ঘটনাপ্রবাহ:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকার করেছেন যে দেশটির নাগরিকদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, কারণ এটি “বিপজ্জনক এলাকা”।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ তেহরানের সঙ্গে পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হলে সামরিক পদক্ষেপের মার্কিন হুমকির জবাবে সতর্ক করে বলেছেন, এক্ষেত্রে মার্কিন পক্ষ আরও ক্ষতির সম্মুখীন হবে, কারণ আমরা অঞ্চলের সমস্ত মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করব।
ওমানের মধ্যস্থতায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা শেষে রবিবার মসকাটে ষষ্ঠ দফার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে, যা এখন অনিশ্চিত।
ইরানি প্রেসিডেন্টের বক্তব্য: প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বুধবার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, ইরান বারবার ঘোষণা দিয়েছে যে আমরা পরমাণু অস্ত্রের পিছনে ছুটছি না, কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে দেশটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও উন্নয়নের অধিকার থেকে সরে আসবে।
আপনার কমেন্ট