হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরানে মার্কিন ও ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর এবং ইরানের পাল্টা হামলার প্রেক্ষাপটে, তেহরানে জীবন স্বাভাবিকভাবে চললেও ইসরায়েলের বড় শহরগুলো প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
সিএনএন-এর এক প্রতিবেদক স্বীকার করেছেন যে, তেহরানের মানুষ আমেরিকার হুমকি ও ইসরায়েলের হামলাকে উপেক্ষা করেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন।
তেহরানের রাস্তায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, শপিং মল ও সুপার মার্কেটে খাদ্যপণ্য প্রচুর পরিমাণে মজুদ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “আমি তেহরান শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেছি—মানুষজন তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত। পেট্রোল পাম্পগুলোতে জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই, কোথাও কোনো লাইন দেখা যায়নি।”
রেস্তোরাঁগুলোতে মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে খাওয়া-দাওয়া ও বিনোদনে ব্যস্ত। এ সময় এও জানা গেছে যে, সপ্তাহান্তের ছুটি শেষে বহু মানুষ নিজ শহরে ফিরছেন। শুক্রবার নামাজের পর, তেহরানে লাখ লাখ মানুষ বিশাল ঐক্য ও সংহতির প্রদর্শন করে ইসরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও সর্বোচ্চ নেতার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করেন। এতে আবারও মার্কিন-ইসরায়েলি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়।
হাইফায় হামলার পর বাজারে নীরবতা
অন্যদিকে হাইফার মেয়র জানিয়েছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শহর পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে এবং মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না, আমাদের একমাত্র দাবি—ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং অবিলম্বে শান্তিচুক্তি করা।”
এদিকে তেল আবিব থেকে জানা গেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করলেও কেউ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বের হতে চাইছে না। শহরটি যেন এক প্রেতাত্মার নগরীতে পরিণত হয়েছে।
আরও জানা গেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাঁচার জন্য আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম পড়ে যাচ্ছে এবং নতুন আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা চলছে।
আপনার কমেন্ট