হাওজা নিউজ এজেন্সি: হুজ্জতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন হাবিবুল্লাহ শা‘বানি শুক্রবারের জুমআর খুতবায় বলেন, “ইমাম হুসাইন (আ.)-এর শিক্ষায় মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সংগ্রাম করে, সেখানে পরাজয়ের কোনো অর্থ নেই।”
প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা
হুজ্জতুল ইসলাম শা‘বানি সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে ভূমিকা রাখা সশস্ত্র বাহিনী ও যুবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি বিনয়ের সঙ্গে সেই সব বাসিজি সদস্য, নিরাপত্তা চৌকিতে নিয়োজিত যুবক, সশস্ত্র বাহিনী, সিপাহ এবং অন্যান্য সংস্থার সদস্যদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা শত্রুর হুমকি সত্ত্বেও সাহসিকতার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “আমাদের উচিত সেই তরুণদের স্মরণ ও সম্মান জানানো, যারা শহিদ হওয়ার সম্ভাবনা জেনেও ময়দানে দাঁড়িয়ে গেছেন।”
যুদ্ধ বাস্তবতা ও পশ্চিমা সমাজের নীরবতা
তিনি বলেন, “আমরা কাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি এবং কতটা শক্তির মুখোমুখি হয়েছি, তা উপলব্ধি করতে হবে। ইউরোপ এমনকি আমেরিকাতেও কেউ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।”
তিনি উল্লেখ করেন, “অনেক ইউরোপীয় দেশ তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্রয় করে থাকে। সাইয়োনিস্ট লবিগুলোর প্রভাব এতটাই গভীর যে, তারা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থাকে প্রভাবিত করে থাকে।”
প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ ও সামরিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা
হুজ্জতুল ইসলাম শা‘বানি বলেন, “আজকের যুদ্ধ একবিংশ শতাব্দীর প্রযুক্তিনির্ভর যুদ্ধ। এখানে কেবল মানবশক্তি যথেষ্ট নয়—আমাদের সামরিক কৌশলে ভিত্তিগত পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন দরকার।”
জাতীয় ঐক্য ও সচেতনতায় গুরুত্ব
তিনি বলেন, “আজ ৯ কোটি ইরানির ঐক্য, সংহতি ও প্রতিরোধ শত্রুর জন্য সবচেয়ে বড় বাধা। এই জাতীয় ঐক্য আমাদের অমূল্য সম্পদ, যা কোনো বিভ্রান্তিকর বক্তব্য বা অপ্রমাণিত বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া উচিত নয়।”
তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “বিশ্লেষক ও বক্তাদের উচিত অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভাষা ব্যবহার করা, যেন ঐক্যে কোনো ফাটল না পড়ে।”
বিচার বিভাগ ও জাতীয় নিরাপত্তা
হুজ্জতুল ইসলাম শা‘বানি বলেন, “ইরানের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্ব রক্ষা অপরিহার্য। দেশকে সবসময় প্রস্তুতির অবস্থানে থাকতে হবে।”
তিনি বিচার বিভাগের সপ্তাহ উপলক্ষে বিচারব্যবস্থার কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করে বলেন, “গুপ্তচর, অনুপ্রবেশকারী ও বিশ্বাসঘাতকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জনগণের ন্যায্য ও সার্বজনীন দাবি।”
শেষে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (IAEA) সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করার মাধ্যমে আজ সেইসব চক্রান্তকারীর হাত রুদ্ধ হয়েছে, যারা আমাদের পরমাণু স্থাপনাগুলোর ওপর নজরদারিতে লিপ্ত ছিল।”
আপনার কমেন্ট