রবিবার ২৯ জুন ২০২৫ - ১১:৪১
ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারতের আকাঙ্খা ও আকুলতা

ইসলামের ইতিহাসে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর আত্মত্যাগ শুধু একটি বিপ্লব নয়, বরং এক বিশুদ্ধ ঈমানের মাইলফলক। আহলে বাইতের (আ.) প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং কারবালা-ভূমির সাথে আত্মিক সংযোগ মুমিন হৃদয়ে এমন একটি আকুলতা সৃষ্টি করে যা সীমাহীন ফজিলত ও আত্মিক উন্মেষের পথ উন্মোচন করে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম বাকির (আ.)-এর একটি বর্ণনায় এ জিয়ারতের ফজিলত এমনভাবে চিত্রিত হয়েছে, যা মানুষের হৃদয়কে গভীরভাবে নাড়া দেয়।

তিনি (আ.) বলেছেন,

لَو یَعلَمُ النّاسُ ما فی زِیارَةِ قَبرِ الحُسَینِ (علیه‌السلام) مِنَ الفَضلِ، لَماتُوا شَوقًا، وَ تَقَطَّعَت أنفُسُهُم عَلَیهِ حَسَراتٍ
যদি মানুষ জানতে পারত ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মাজার শরীফ  জিয়ারতে কী পরিমাণ ফজিলত ও মর্যাদা রয়েছে, তবে তারা সেই আকর্ষণ ও উদ্দীপনার তীব্রতায় প্রাণ হারাত এবং (জিয়ারতের মর্যাদা না পাওয়ার) অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষায় তাদের হৃদয় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।

[কামিলুয্‌ জিয়ারাত, পৃষ্ঠা ১৪৩]

ইমাম হুসাইন (আ.)-এর জিয়ারত শুধু একটি শারীরিক সফর নয়, বরং তা একটি আত্মিক আহ্বান—যেখানে প্রেম, ত্যাগ ও চেতনার মিলন ঘটে। যাঁরা হৃদয় দিয়ে হুসাইন (আ.)-কে ডাকেন, তাঁর জিয়ারতের আকুলতা তাদের অস্তিত্বকেই বদলে দেয়।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha