হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ী-এর দপ্তরে করা এ সংক্রান্ত এক ইস্তিফতার (ধর্মীয় প্রশ্নের লিখিত উত্তর) জবাব দিয়েছেন, আগ্রহী পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরছি:
প্রশ্ন: কেউ কেউ আজাদারির মজলিস/হাইয়্যাতে নযর হিসেবে চাল ও মাংস দিয়েছেন। এখন দেখা যাচ্ছে, চালের পরিমাণ বেশি, কিন্তু মাংস বা অন্যান্য উপকরণ কম। এ অবস্থায় অতিরিক্ত চাল বিক্রি করে প্রয়োজনীয় মাংস বা অন্যান্য সামগ্রী কেনা যাবে কি?
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী’র জবাব: “নযর ও উপহারসামগ্রী অবশ্যই সেই উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করতে হবে, যা নযরদাতা নির্ধারণ করেছেন বা যার জন্য নিয়ত করেছেন। তবে, যদি শরয়ী সীগা না পড়ে (অর্থাৎ নির্দিষ্ট খাত উল্লেখ না করে) নযর দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে দাতার অনুমতি সাপেক্ষে নযরকৃত সামগ্রী পরিবর্তন করে অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে।”
ব্যাখ্যামূলক সংযোজন:
১. যদি নযর শরিয়তসম্মত পদ্ধতিতে (সীগাসহ) দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে তা শুধুমাত্র নির্ধারিত খাতে ব্যয় করা বৈধ।
২. তবে সাধারণভাবে বা সীগা ছাড়া নযর দেওয়া হলে, দাতার সম্মতি নিয়ে অতিরিক্ত সামগ্রী বিক্রয় করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা জায়েয।
এই নির্দেশনা নযর আদায়ের ক্ষেত্রে স্পষ্টতা, সততা ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখতে এবং অপচয় রোধে সহায়ক।
আপনার কমেন্ট