হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিহাসের পাতায় অমর এক অধ্যায় হলেন ইমাম সাজ্জাদ (আ.)। কারবালার বেদনাদায়ক ঘটনার সাক্ষী এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন ছিল কান্না ও শোকভরা। শোক শুধু স্মৃতিতে নয়, তার প্রতিটি নিঃশ্বাসে ছিল কারবালার রক্তাক্ত ছায়া।
মরহুম শেখ হুর্রে আমেলি ওয়াসাইল গ্রন্থের তৃতীয় খণ্ডের ২৮১ লিখেছেন, এমন কিছু মহান মানুষ ছিলেন যাঁরা "বাক্কায়িন" নামে পরিচিত—অর্থাৎ যারা অত্যধিক কেঁদেছেন।
তালিকায় রয়েছেন হযরত আদম (আ.), হযরত ইয়াকুব (আ.), হযরত ইউসুফ (আ.), এবং রাসূলের (সা .) কন্যা ফাতিমা যাহরা (সা.)। আর এ তালিকার এক উজ্জ্বল নাম ইমাম সাজ্জাদ (আ.)।
মরহুম হুর্রে আমেলি বর্ণনা করেন:
প্রায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত, যখনই ইমাম সাজ্জাদের (আ.) সামনে খাবার পরিবেশন করা হতো, তিনি অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়তেন।
পানি পান করলেও চোখে জল আসত।
কাউকে পানি পান করতে দেখলেও কেঁদে ফেলতেন।
এমনকি যখন কোনো পশুকে কুরবানি করতে দেখতেন, তখন বলতেন: ‘এই প্রাণীটিকে আগে পানি দাও।’
তারপরই কান্নায় ভেঙে পড়তেন।
তিনি বলতেন: ‘আমাদের প্রিয়জনদের কারবালায় পানি দেওয়া হয়নি।
এই বক্তব্য শুধু একটি ইতিহাসের টুকরো নয়, বরং তা এক মহামর্মান্তিক ঘটনার অনুরণন, যা একজন ইমামের হৃদয়ে সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়েছে। ইমাম সাজ্জাদের (আ.) প্রতিটি অশ্রু যেন আজও কারবালার সেই নিষ্ঠুর তৃষ্ণার স্মৃতিকে জিইয়ে রাখে।
এটি শুধু ইতিহাসের শিক্ষা নয়, বরং মানবতা ও সহানুভূতির এক অনন্য উদাহরণ। আমাদের উচিত, এই অশ্রুর ভাষা উপলব্ধি করে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করা।
আপনার কমেন্ট