হাওজা নিউজ এজেন্সি: রাসুল তাগিপুর জানিয়েছেন, অনিচ্ছাকৃত অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্তদের মুক্তিতে সমাজসেবী ও দানশীলদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সমাজে অপরাধজনিত ক্ষতির পরিমাণ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
তিনি জানান, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দানশীল ব্যক্তি ও জনসাধারণের সহযোগিতায় প্রদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ১২২ জন অনিচ্ছাকৃত অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি মুক্তি পেয়েছেন এবং তারা স্বজনদের কাছে ফিরেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিপ্রাপ্তদের মোট দেনা ছিল ৩৩২ বিলিয়ন তুমান, যার মধ্যে: ২৯৫ বিলিয়ন তুমান কিস্তিতে পরিশোধের শর্তে আদালতের মাধ্যমে ক্ষমা করা হয়, ১৭ বিলিয়ন তুমান ক্ষতিগ্রস্তদের সদাশয় ক্ষমার ফলে মাফ হয়, ১২.৫ বিলিয়ন তুমান অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হয়, ৪ বিলিয়ন তুমান ঋণের মাধ্যমে এবং ৪ বিলিয়ন তুমান পরিবারের পক্ষ থেকে জোগাড় করে পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই সময়কালে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জন নারী ও ১১৯ জন পুরুষ ছিলেন।
“আমার খুশিতে যেন কারও দুঃখ লাঘব হয়”—এক তরুণের মানবিক বার্তা
মহৎ উদ্যোগের নায়ক মোহাম্মদআমিন জাহানিয়ান বলেন, “জন্মদিন উপলক্ষে নিজে আনন্দ করার বদলে আমি চেয়েছি এই অর্থ দিয়ে আমার কিছু ভাইকে মুক্ত করে দিতে, যাতে তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয় এবং এতে আমি আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে একটি পদক্ষেপ এগোতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সংকটাপন্ন সামাজিক বাস্তবতায় আমাদের প্রত্যেকেরই একে অপরের প্রতি দায়িত্ব রয়েছে। যদি আমরা অন্তত একটি পরিবারকেও দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত করতে পারি, তবে সেটিই হবে আমাদের মানবিক দায়িত্ব পালনের প্রকৃত প্রতিফলন।”
এই ঘটনা মানবিকতা, সামাজিক দায়িত্ববোধ ও অপরের জন্য ভাবনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সমাজে নৈতিক চেতনা ও সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে অনুপ্রেরণা জোগায়।
আপনার কমেন্ট