হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জামেয়াতুল মোস্তফা তাদের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি একটি বৈশ্বিক জ্ঞানচর্চা ও ধর্মীয় সংগঠন, যা বিশ্বব্যাপী সংলাপ, সহাবস্থান, শান্তি, আধ্যাত্মিকতা এবং ন্যায়বিচারের প্রসারের পক্ষপাতী। এই প্রতিষ্ঠান ইসলামি মর্জায়েত তথা শীর্ষ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে এবং আয়াতুল্লাহ মাকারে শিরাজি ও আয়াতুল্লাহ নূরি হামাদানি-র স্পষ্ট ধর্মীয় মতামতের পূর্ণ সমর্থন করে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ও ইহুদি সরকারের পক্ষ থেকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাকে টার্গেট করা আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও জেনেভা কনভেনশনের মতো সব মানবিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ধর্মীয় নেতাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো মানেই ধর্মীয় ঘৃণাকে উসকে দেওয়া, সহিংস প্রবণতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং বৈশ্বিক শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলা।
জামেয়া আরও জোর দিয়ে বলেছে, ইসলামী বিশ্বের শীর্ষ আলেমরা—হোক তিনি ক্বুম, নাজাফ, আল-আযহার কিংবা অন্য কোনো জ্ঞানকেন্দ্র থেকে—একবাক্যে বলেছেন, যে কেউ ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হত্যার হুমকি দেয় বা হত্যা করে, সে শরীয়তের দৃষ্টিতে 'মুহারিব' (যুদ্ধ ঘোষণাকারী) এবং 'ফাসাদ ফি-ল-আর্দ' (পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা) হিসেবে বিবেচিত হবে এবং তার জন্য কঠিনতম শাস্তি নির্ধারিত।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও সকল মুক্তচিন্তাবিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন তারা এই ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করে, যাতে করে বৈশ্বিক শান্তি, আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ এবং মানবতার সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।
আপনার কমেন্ট