বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫ - ১৫:০৮
তেহরানের হুঁশিয়ারি: “আমাদের আঙ্গুল ট্রিগারে, শত্রুর প্রথম গুলির অপেক্ষায় থাকব না”

যদি দখলদার ইসরায়েলকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া না হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলার ক্ষতিপূরণ না দেয়, তাহলে তেহরান কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত রয়েছে—RT-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি দেন তেহরানের এক শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “আমাদের আঙুল ট্রিগারে—এবার শত্রুর প্রথম গুলির অপেক্ষা করব না।”

হাওজা নিউজ এজেন্সি: তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী হলেও ইরান এই মুহূর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো সম্মতি দেয়নি এবং আলোচনাকে সময়োচিত মনে করছে না।

“আমেরিকানরা আলোচনার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু ইরান বর্তমানে তাদের চাপিয়ে দেয়া সংঘাতের সাময়িক বিরতিতে রয়েছে,”—বলেন তিনি।

ওই কর্মকর্তা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমাদের আঙুল এখনো ট্রিগারে রয়েছে। শিশুহত্যাকারী এই দখলদার শাসকগোষ্ঠী যদি কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়, তবে এবার আমরা শত্রুর প্রথম গুলির জন্য অপেক্ষা করব না।”

তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, “ওয়াশিংটনের উচিত তাদের আঞ্চলিক প্রক্সি বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।”

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুন ইহুদিবাদী ইসরায়েল ১২ দিনব্যাপী ইরানের সামরিক, পারমাণবিক এবং আবাসিক স্থাপনাগুলোর ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েলের সমর্থনে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের নাতাঞ্জ, ফোর্দো এবং ইসফাহান শহরের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বিমান হামলা চালায়।

ইরান তাৎক্ষণিকভাবে মোক্ষম জবাব দেয়। ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর মহাকাশ ইউনিট ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’ (True Promise III) এর আওতায় ইসরায়েলের অধিকৃত ভূখণ্ডে ২২ ধাপে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যার ফলে দখলদার বাহিনী ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাবে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী কাতারে অবস্থিত পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি, আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি-তে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও আমেরিকার অনুরোধে ২৪ জুন কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে সাময়িকভাবে সংঘাত স্থগিত রয়েছে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha