হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইরনার পররাষ্ট্রনীতি বিভাগের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক কর্মপরিষেবা বিভাগ এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সামরিক হামলাকে ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরে উত্তেজনার বৃদ্ধি’ বলে অভিহিত করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বাকায়ী লিখেছেন, “ইসরায়েলের সরাসরি সামরিক আগ্রাসনকে ‘সিরিয়ার অভ্যন্তরে উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ন্যূনতম নৈতিক দায়বদ্ধতার মুখোশও খুলে ফেলেছে। এটি একদিকে বাস্তবতার বিকৃতি, অন্যদিকে ‘কূটনীতির’ নামে সহিংসতা ও অন্যায়ের প্রতি নীরব সমর্থনের স্পষ্ট উদাহরণ।”
তিনি বলেন, “আগ্রাসন ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে ইরানের রয়েছে এক গৌরবময় ঐতিহ্য। আমরা পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও দ্বিমুখী মানদণ্ডকে বরাবরই দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি।”
বাকায়ী বলেন, “আমরা যেমন অতীতে সিরিয়ার জনগণের পাশে থেকেছি, তেমনি এখনো আছি এবং আগামীতেও থাকব। আমরা দৃঢ় কণ্ঠে সিরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অবিচল সমর্থন জানাই।”
গত ডিসেম্বরে ইরান সমর্থিত বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হলে সিরিয়ায় ইরান ও রাশিয়ার প্রভাবেরও পতন ঘটে। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার সৌদিমুখী হওয়ায় পশ্চিমাদের অনুগত থাকবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সর্বশেষ ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে সিরিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানে হামলা চালায় তেল আবিব। এমন পরিস্থিতিতেও সিরিয়ার পাশে থাকার ঘোষণা দিলো তেহরান।
আপনার কমেন্ট