হাওজা নিউজ এজেন্সি: রবিবার সংসদ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে গালিবাফ ইসরায়েলকে আখ্যা দেন “পশ্চিমা বিশ্বের অবৈধ সন্তান ও এক ক্যান্সারসদৃশ টিউমার” হিসেবে। তিনি বলেন, বর্তমানে গাজায় ইসরায়েল এমন এক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে, যা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ অধ্যায়।
তিনি বলেন, “জায়নবাদী এই অপরাধযজ্ঞ অব্যাহত থাকলে এর ভয়াবহতা শুধু ফিলিস্তিনেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটি পুরো অঞ্চল ও বিশ্বব্যবস্থায় মারাত্মক অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। এখনই এদের থামাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রমাণ করেছে— সন্ত্রাসবাদ এই অবৈধ রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে আছে। কারণ, তারা হামলা চালানোর সময় বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তু, শিশু ও বৃদ্ধ— কারও মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি।
ইরানি জনগণের সাহসিকতা ও ঐক্যের প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, “আমাদের জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে জায়নবাদীদের মোকাবিলা করেছে এবং একের পর এক কঠিন চড় বসিয়েছে তাদের মুখে। শত্রু যখন সামরিকভাবে ব্যর্থ হলো, তখন তারা মনস্তাত্ত্বিক ও অর্থনৈতিক যুদ্ধ শুরু করেছে আমাদের বিরুদ্ধে।”
তিনি জানান, গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও আবাসিক স্থাপনায় ১২ দিনব্যাপী ব্যাপক বোমা হামলা চালায়। পরে ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্রও সরাসরি হস্তক্ষেপ করে এবং নাতান্য, ফোরদো ও ইসফাহানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
এই হামলার জবাবে ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর অ্যারোস্পেস ইউনিট “অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩” চালু করে। এর আওতায় ২২টি দফায় ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যাতে শত্রু পক্ষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানি বাহিনী কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল নিক্ষেপ করে, যা পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরবর্তীতে ২৪ জুন থেকে কার্যকর হওয়া এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে এই সংঘর্ষ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়।
আপনার কমেন্ট