হাওজা নিউজ এজেন্সি: দায়িত্বশীলরা বলছেন, যদিও তথাকথিত “মানবিক করিডোর” খোলার দাবি করেছে ইসরায়েল, বাস্তবে একটিও সহায়তা ট্রাক গাজার চরম বিপর্যস্ত জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। আল জাজিরার প্রতিবেদক হানি মাহমুদ বলেন, "এই সহায়তা কেবল কাগজে-কলমে রয়েছে, বাস্তবে নয়।"
শুধু ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ৬০,০০০ ফিলিস্তিনির সংখ্যা মানে হলো—অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে প্রতি ৩৬ জনে ১ জন মানুষ হত্যা করা হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে, যা এক ভয়াবহ গণহত্যার ইঙ্গিত দেয়।
যুক্তরাষ্ট্র সেনেটরের কঠোর সমালোচনা
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর পিটার ওয়েলচ সিনেটে এক বিরল সততার ভাষণে বলেন, "গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সৃষ্ট এই দুর্ভিক্ষ অবসান হওয়া দরকার। এই হত্যাকাণ্ড আমেরিকার ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে।"
তিনি বলেন, "এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত সামরিক কৌশল, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণকে সংকুচিত করে রাখা হচ্ছে।"
ওয়েলচ ইসরায়েলের এই নীতিকে “ভূমি দখলের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত একটি যুদ্ধনীতি” বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, "শিশুদের না খাইয়ে রেখে যুদ্ধজয়ের চেষ্টা—এটা সরাসরি যুদ্ধাপরাধ।"
আন্তর্জাতিক আদালতের পদক্ষেপ
আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (ICC) ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সময়ে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (ICJ) ইসরায়েলের হামলাকে গণহত্যার প্রেক্ষিতে তদন্ত করছে।
আপনার কমেন্ট