হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ভবিষ্যতে বর্ধিত হতে পারে। মুফতি তাঁর খুতবায় গাজার জনগণের বিরুদ্ধে চলমান আগ্রাসন ও অবরোধের ফলে সৃষ্টি হওয়া মানবিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানান—যেখানে এখন পর্যন্ত ৫৯,৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহতের সংখ্যা প্রায় ১,৪৫,০০০।
জুমার খুতবায় মুফতি বলেন, “হে মুসলিমগণ, হে ইসরা ও মেরাজের পবিত্র ভূমির অধিবাসীগণ, আজ মানবতা অবিচারের ভারে ধ্বংসপ্রায়। পৃথিবীর চোখের সামনে মানুষ খাবার থেকে বঞ্চিত হয়ে অনাহারে মরছে—এমন এক বিশ্বে, যারা মানবাধিকারের বুলি কপচায়। বাস্তবতা এই দাবিগুলোকে স্পষ্টভাবে মিথ্যা প্রমাণ করছে। হে আল্লাহর রাসূল (সা.), আপনি কোথায়, যখন এই পৃথিবী অবিচারের সাগরে ডুবে যাচ্ছে?”
পরে ওয়াফা বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মুফতি জানান, তাঁকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা বিভাগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল এবং সেখানেই তাঁকে আল-আকসায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়। তিনি বলেন, তাঁর খুতবা ছিল নিপীড়নের বিরুদ্ধে একজন ধর্মীয় নেতার নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের বহিঃপ্রকাশ।
ইসরায়েল পূর্বেও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনাকারী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের দমন করেছে। মুফতির বক্তব্য এই নীতিরই সাম্প্রতিক উদাহরণ।
গাজায় মানবিক বিপর্যয় অব্যাহত: শিশুরা চরম ঝুঁকিতে
গাজায় অবরোধের কারণে ১০০,০০০-এরও বেশি শিশু, যার মধ্যে ৪০,০০০ নবজাতক, এখন মারাত্মক খাদ্য সংকটে রয়েছে।
সরকারি তথ্যমতে, ইতোমধ্যে ১২২ জন মৃত্যুবরণ করেছে, যার মধ্যে ৮৩ জনই শিশু।
মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, জীবনরক্ষাকারী পুষ্টিকর খাবারের মজুত প্রায় ফুরিয়ে এসেছে এবং হাজার হাজার শিশু এখন তাৎক্ষণিক মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
আপনার কমেন্ট