হাওজা নিউজ এজেন্সি: ইমাম হাসান মুজতবা (আ.)-এর শাহাদাতবার্ষিকী এবং আয়াতুল্লাহ শেখ আব্দুল্লাহ ফাযেল লাঙ্কারানী (রহ.)-এর ইন্তেকালের বার্ষিকী উপলক্ষে কোম-এর ফিকহি কেন্দ্রীয় মসজিদে এক বিশেষ স্মরণানুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আয়াতুল্লাহ মোহাম্মাদ জাওয়াদ ফাযেল লংকারানী, বিশিষ্ট মারজায়ে তাকলিদের প্রতিনিধিবৃন্দ, আলেম-উলামা, তালাবা, ইমামগণ, ধর্মীয় সংগঠনের সদস্য ও আহলুল বাইতের (আ.) অনুরাগীরা।
অনুষ্ঠানে হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি বলেন, ইমাম হাসান (আ.)-এর জীবনচর্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো আমিরুল মুমিনিন আলী (আ.)-এর বেলায়েত ও নেতৃত্ব রক্ষা। তিনি উল্লেখ করেন, “ইমাম (আ.) এমন এক কঠিন রাজনৈতিক ও সামাজিক সময়ে বাস করতেন, যখন মু’আবিয়া (লা.)-এর শাসন চলছিল। তবুও তিনি বিভিন্ন উপলক্ষে সাহসিকতার সঙ্গে ইমাম আলী (আ.)-এর নেতৃত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বেলায়েত রক্ষার প্রথম অগ্রদূত ছিলেন হযরত ফাতিমা যাহরা (সা.আ.), যিনি তাঁর বলিষ্ঠ বক্তব্য ও সাহসী অবস্থানের মাধ্যমে ইসলামী নেতৃত্বের অধিকার রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রেখেছেন।”
হুজ্জাতুল ইসলাম রাফিয়ি বলেন, “বিখ্যাত আলেম আল্লামা আমিনী তাঁর গ্রন্থ আল-গাদীর-এর মাধ্যমে বেলায়েতের পক্ষে ঐতিহাসিক দলিল উপস্থাপন করেছেন। আমাদের সময়েও এই দায়িত্ব পালন করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য।”
তিনি বলেন, “আজকাল মানবাধিকার ও জীবনধারা বিষয়ে নানা আলোচনা চলছে। কিন্তু পশ্চিমারা এসব ক্ষেত্রে চরম প্রতারণা করেছে। আমাদের সমাজেও জীবনধারায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এসব সমস্যার প্রকৃত সমাধান নিহিত আছে আহলুল বাইতের (আ.) শিক্ষায় ফিরে যাওয়ার মধ্যে।”
তিনি ইমাম হাসান (আ.)-এর একটি হাদীস উল্লেখ করে বলেন, “ইসলামী জীবনধারার অন্যতম ভিত্তি হলো সত্যবাদিতা ও বিশ্বস্ততা। আজ পরিবার, প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র এমনকি আন্তর্জাতিক পরিসরেও সত্যবাদিতা চূড়ান্ত গুরুত্ব বহন করে।”
আপনার কমেন্ট