হাওজা নিউজ এজেন্সি: ড. রাফিয়ি ইমাম সজাদ (আ.)-এর একটি প্রসিদ্ধ হাদিস উদ্ধৃত করে বলেন,
عَلَامَاتُ الْمُؤْمِنِ خَمْسٌ: الْوَرَعُ فِي الْخَلْوَةِ، وَالصَّدَقَةُ فِي الْقِلَّةِ، وَالصَّبْرُ عِنْدَ الْمُصِيبَةِ، وَالْحِلْمُ عِنْدَ الْغَضَبِ، وَالصِّدْقُ عِنْدَ الْخَوْفِ
একজন মুমিনের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো: নির্জনে পরহেজগারি, অভাবের সময় দান, বিপদের মুহূর্তে ধৈর্য, রাগের সময় সহনশীলতা এবং ভয়ের সময় সত্যবাদিতা।
হুজ্জতুল ইসলাম রাফিয়ি এই পাঁচটি গুণকে ব্যাখ্যা করে বলেন:
১. নির্জনে পরহেজগারি (তাকওয়া): অনেকেই জনসম্মুখে পাপ এড়িয়ে চলে, কিন্তু প্রকৃত মুমিন সেই, যে একান্তে একা থাকলেও নিজেকে গোনাহ থেকে রক্ষা করে। নির্জনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা তাকওয়ার প্রকৃত পরিচয়।
২. ভয়ের সময় সত্য বলা: তিনি বলেন, সত্য বলার প্রকৃত মূল্য তখনই বোঝা যায়, যখন তা বললে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কুফার সাহসী অন্ধ ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে উফফ, যিনি ইবনে জিয়াদের বক্তৃতায় ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি অবমাননার প্রতিবাদ করে কারাবরণ ও শহিদ হন।
৩. বিপদের সময় ধৈর্যধারণ: মুমিন ব্যক্তি বিপদের সময় আল্লাহর প্রতি আস্থা হারায় না। কান্না দোষের নয়, কিন্তু অভিযোগ, হতাশা ও ঈমানচ্যুতির মতো কথা বলা অনুচিত।
৪. অভাবের সময় দান: প্রকৃত দান তখনই, যখন নিজেও অভাবগ্রস্ত থাকা সত্ত্বেও মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দান করে। এতে মুমিনের উদারতা ও ঈমানের পরিচয় ফুটে ওঠে।
৫. রাগের সময় সহনশীলতা: রাগের সময় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা অন্যতম মুমিনগুণ। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মদীনায় ইমাম সজাদ (আ.)-কে গালি দিয়েছিল। ইমাম তাঁর দরজায় গিয়ে বলেছিলেন, “যদি তুমি সত্য বলো, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন, আর যদি মিথ্যা বলো, আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করুন।” এটিই হিলম বা সহনশীলতার প্রকৃত উদাহরণ।
বক্তব্যের শেষে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই পাঁচটি গুণের আলোকে নিজেকে মূল্যায়ন করা এবং আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা যেন তিনি আমাদের মধ্যে এই গুণাবলি সৃষ্টি করেন।
আপনার কমেন্ট