বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫ - ১২:২৭
মির্জা জাওয়াদ আকা মালেকী তাবরীজি (রহ.)-এর দৃষ্টিতে আরবাঈনের আদব ও আচার

মির্জা জাওয়াদ আকা মালেকী তাবরীজি (রহ.) যিনি নিজে বহুবার নাজাফ থেকে কারবালার পথে পায়ে হেঁটে যাত্রা করেছেন, তাঁর গ্রন্থ “তারজুমাতুল মুরাকাবাত”-এ মনোযোগ (মুরাকাবা) ও আরবাঈনের দিনে ভাবগম্ভীরতার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: আহলে বাইতের (আ.) প্রেমিক, ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ভক্ত এবং বহু আলেম ও মারজায়ে তাকলীদ পায়ে হেঁটে কারবালায় যাত্রা করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম হযরত মির্জা জাওয়াদ আকা মালেকী তাবরীজি (রহ.), যিনি নিজে বহুবার আতাবায়ে আলাভীয়ে থেকে পায়ে হেঁটে যাত্রা সম্পন্ন করেছেন।

তিনি আরবাঈন হুসাইনি উপলক্ষে মনোযোগ (মুরাকাবা) এবং বিশেষ ভাবগম্ভীরতা প্রদর্শনের বিষয়ে বলেন,

“যে ব্যক্তি (আরবাঈনের জিয়ারতে) মনোযোগী হতে চায়, তার জন্য ২০শে সফর (আরবাঈনের দিন)কে শোক ও দুঃখের দিন হিসেবে নির্ধারণ করা উচিত। সে চেষ্টা করবে শহীদ ইমামকে তাঁর মাজারে অন্তত একবার জিয়ারত করতে, এমনকি তা জীবনে অন্তত একবারই হোক। হাদীস অনুযায়ী, একজন মুমিনের পাঁচটি চিহ্ন রয়েছে: দৈনিক ৫১ রাকাত নামাজ পড়া, আরবাঈনের জিয়ারত, ডান হাতে আঙুলে আংটি পরা, মাটিতে সিজদাহ্ করা, এবং নামাজে উচ্চস্বরে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ বলা।”

এই বর্ণনা থেকে বোঝা যায় যে, আরবাঈনের দিনটি শুধু শোক ও স্মৃতির নয়; এটি আত্মসংযম, মনোযোগ ও নৈতিক উদ্দীপনার প্রতীক। হযরত মির্জা জাওয়াদ আকা মালেকী তাবরীজি (রহ.) আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, এই দিনে অন্তরের উপস্থিতি ও সৎ ও আন্তরিক মনোভাব ইমাম হুসাইন (আ.)-এর প্রতি ভক্তির অপরিহার্য অংশ।

[তারজুমাতুল মুরাকাবাত, করিম ফেইযী, পৃষ্ঠা ৮৫]

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha